বাকৃবি প্রতিনিধিঃ কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পূর্বে যৌক্তিক সময় চেয়েছেন ২০২৩-২৪ সেশনের পরীক্ষার্থীবৃন্দ। পরীক্ষার প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ দিন পূর্বে পরীক্ষার্থীদের অবগত করার বিষয়ে দাবি জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন পরীক্ষার্থীবৃন্দ।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির।
স্মারকলিপিতে পরীক্ষার্থীরা জানান, বিগত ১৫ই জুলাই সমন্বিত কৃষি ভর্তি পরীক্ষা শিক্ষকদের কর্মবিরতির জন্য স্থগিত হয়ে যায়। স্থগিত হওয়া সমন্বিত কৃষি পরীক্ষা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জেনেছেন শিক্ষার্থীরা। এ তথ্য জানার পর তারা চরম শঙ্কিত ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আছেন। বিগত ২ মাসে দেশের সামগ্রিক পট পরিবর্তন ও আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন তারা পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়াও নোয়াখালী-ফেনী সহ দেশের ১১ জেলায় ভয়াবহ বন্যার কারণে সেখানকার পরীক্ষার্থীরাও বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারেননি। পাশাপাশি বিগত ৩ থেকে ৪ দিনের ভারি বর্ষণে আবারও প্লাবিত হয়েছে নোয়াখালী-ফেনীসহ অনেক নিম্নাঞ্চল এবং দেশের উপকূলীয় অঞ্চল। একটি ভয়াবহ বন্যা কাটিয়ে উঠার আগেই আবারো বন্যা। এমতাবস্থায় ওই সকল অঞ্চলের পরীক্ষার্থীরা আবারো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
পরীক্ষার্থীরা আরও জানান, ১৫ ই সেপ্টেম্বর ভর্তি পরীক্ষা সম্বলিত পূর্বনির্ধারিত সভা স্থগিত হওয়া সত্ত্বেও কোনো প্রেস রিলিজ ছাড়াই সন্ধার দিকে হঠাৎ করেই ৪ ঠা অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষার হবে বলে জানানো হয় ওয়েবসাইটে। এই ঘটনা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। বিভ্রান্তিকর অবস্থায় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) রেজিস্ট্রার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরীক্ষার্থীদের জানান যে ওয়েবসাইটে কারিগরি ত্রুটির কারণে এমন হয়েছে। এভাবে মাত্র ১৮ দিনের প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দেওয়া প্রায় অসম্ভব এবং অযৌক্তিক।
শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে বলেন, পরীক্ষা গ্রহণের ন্যূনতম ৩০ থেকে ৩৫ দিন আগে তারিখ ঘোষণা করতে হবে। এরকম প্রায় ১ মাস মতো সময় পেলে বন্যাদুর্গতরা নিজেদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন এবং পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন এ বিষয়ে বলেন, যখন ভর্তি পরীক্ষার মিটিং হবে, তখন আমরা শিক্ষার্থীদের স্মারক লিপির বিষয়টি মিটিংয়ে উপস্থাপন করবো।