The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

জেএসসি ও এসএসসির নম্বর নিয়ে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের প্রস্তুতি

শিক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার নম্বর নিয়ে (বিষয় ম্যাপিং) এবারের এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করার প্রস্তুতি নিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
এ ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ৭৫ শতাংশ ও জেএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ২৫ শতাংশ নম্বরকে বিবেচনায় নিয়ে এইচএসসি বা সমমানের ফলাফল প্রকাশের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এভাবে এই দুটি পরীক্ষার নম্বর যোগ করে যত নম্বর হবে, সেটি হবে ওই পরীক্ষার্থীর এইচএসসি বা সমমানের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এই ফলাফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে একাধিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ফলাফল কীভাবে প্রকাশ করা হবে, সে বিষয়ে সম্ভাব্য প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় যে নির্দেশনা দেবে, সে অনুযায়ী ফলাফল তৈরি করে প্রকাশের ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্য আগামী বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা বোর্ডগুলোর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে এবারের এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পদ্ধতি চূড়ান্ত হতে পারে।

এবার এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার্থী সাড়ে ১৪ লাখের মতো। পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ জুন। সাতটি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তখন পর্যন্ত ছয়টি পরীক্ষা বাকি ছিল। আর ব্যবহারিক পরীক্ষাও বাকি। একপর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের এক দফায় রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়।

পরে সিদ্ধান্ত হয়, ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। যদিও তা হয়নি। কারণ হিসেবে শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনার সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির দিন বিভিন্ন এলাকার থানায় হামলা হয়েছিল। এতে থানায় রাখা প্রশ্নপত্রের ট্রাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এ অবস্থায় ১১ আগস্টের পরিবর্তে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আন্দোলনে নামে পরীক্ষার্থীদের অনেকে। তাদের দাবি ছিল, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ থাকার বিষয়টি তাদের মানসিক চাপে ফেলেছে। তাই অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে হবে। একপর্যায়ে আন্দোলনের মুখে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.