ঢাবি প্রতিনিধিঃ গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার তোপের মুখে সরকার পতন হয়।তারপর থেকেই তার অনুসারীদের অপসরণ করা হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো ভিসি,রেজিস্ট্রার, ট্রেজারার সবাই পদত্যাগ করেছেন।
এছাড়া বিভাগ, ইনস্টিটিউট, হল, ও অনুষদের প্রধানদের ও অপসারণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেও বেশিরভাগই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোপে পরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু পদত্যাগ করছেন না ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক আব্দুর রশিদ।
শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখেও পদত্যাগ করছেন না তিনি।তার পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করে আসলেও কোনো ফল মিলছে না।
শিক্ষার্থীদের দাবি অধ্যাপক আব্দুর রশিদ আওয়ামীলীগের দোসর। তিনি কোটা আন্দোলনের সময়েও ছাত্রদের পক্ষে ছিলেন না।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী রাইজিং ক্যাম্পাসকে বলেন তিনি শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক ভাবে হেনেস্তা, ভাইভা বোর্ডে অসদাচারণ, একাডেমিক ক্ষতিসাধন, চাকরির ভাইভায় পক্ষপাতিত্ব ও স্বজনপ্রীতি করেছেন।
এছাড়া ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন তিনি আর্থিক কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত ছিলেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা তার পদত্যাগের জন্য সরকার পতনের পর থেকেই আন্দোলন করছি কিন্তু তার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাইনি।
এর আগে এই শিক্ষকের পদত্যাগের ঢাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, বিভাগের অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীদের দাবি তিনি আত্মগোপনে আছেন।
এ বিষয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক আব্দুর রশিদের মতামত জানতে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।