ঢাবি প্রতিনিধিঃ ১ম বর্ষে থাকাকালীন অসুস্থ থাকায় প্রোগ্রাম থেকে ছুটি নিতে গেলে এক ছাত্রলীগকর্মী রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং ছুটি না দিয়ে সারাদিন প্রোগ্রাম করতে বলে। অশ্রুসিক্ত চোখে দ্যা রাইজিং ক্যাম্পাসকে কথাগুলো বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী। তবে সেসময় ফুরিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি)। ক্যাম্পাসের কোথাও এখন ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মীদের দেখা মিলছে না। ভয় পাচ্ছে তারা ক্লাসরুমে ফিরতেও।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কেউই নেই ক্যাম্পাসে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে কেন্দ্রীয় ও ঢাবির প্রধান নেতাকর্মীদের কন্টাক্ট নাম্বার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ রয়েছে। দেখা যাচ্ছে না মধ্যম পর্যায়ের কোনো নেতা বা কর্মীকেও।
আন্দোলনের শুরু থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান করছিল ছাত্রলীগ। ১৪ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হলেও সংঘাতে জড়ায়নি দুপক্ষ। কিন্তু ১৫ তারিখের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে ছাত্রলীগ।
নাম না প্রকাশ করা স্বার্থে এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, পরিস্থিতি ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরতে পারবো না। আমাদের মাথার উপরে কোনো ছাদ নাই। এখন ক্লাসে গেলেও সবাই আমাদেরকে প্রহার করবে। তাই সব কিছু শিথিল হলেই ক্লাসে ফিরবো। সেক্ষেত্রে দুই বছর গ্যাপ দিতে হলেও আমার সমস্যা নাই।
আরেকজন ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়তো আর পড়াই হবে না। দেশের বাইরে যাওয়ার চিন্তা করছি। অলরেডি হয়তো আমার নামে মামলাও হয়ে গেছে। বিভাগের সকল শিক্ষার্থীরা মিলে আমাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে বিভাগ থেকে। দুই এক বছরের মধ্যে ক্যাম্পাসে ফিরতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না।