The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রকাশ্যে মাদকসেবন চলে অনৈতিক কার্যকলাপও

ঢাবি প্রতিনিধিঃ অন্ধকার একটি জায়গায় এগিয়ে গেলেন একজন সিগারেট বিক্রেতা।হটাৎ কিছু যুবক সেখানে বাইক নিয়ে উপস্থিত হলেন। সিগারেট বিক্রেতা সিগারেটের বদলে বাড়িয়ে দিলেন গাঁজা। তা নিয়ে সেবনে মনোযোগ দিলেন ১০-১২ জন যুবক । উড়ছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। উৎকট গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই দৃশ্য আজ মঙ্গলবার দ্যা রাইজিং ক্যাম্পাসের চোখে পরে।ওই সিগারেট বিক্রেতার সঙ্গে কেবল গাঁজা নয়, থাকে আরও নানা ধরনের মাদক। ফরমাশ অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়।

গত দুই দিনে উদ্যানে ঘুরে দেখা যায়, যত্রতত্র প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি চলে। মাদক কিনে সেখানে বসেই সেবন করে মাদকসেবীরা। পাশাপাশি ভবঘুরেদের আড্ডায় পরিণত হয়েছে উদ্যানটি। এতে দর্শনার্থীরা উদ্যানটিকে অনিরাপদ মনে করছেন।

মূলত কম বয়সী ছেলেরা মাদক বিক্রি করছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে রিকশাওয়ালাও জড়িয়ে পড়ছে এই কাজে। সেই গাঁজা কিনছে বিভিন্ন বয়সী মানুষ। ক্রেতাদের মধ্যে তরুণদের পাশাপাশি বয়স্করাও রয়েছেন।

ঘুরতে আসা কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান সন্ধ্যার পর কয়েকটি দল নেশার আসর বসায় এখানে। তাদের প্রায়ই দলবেঁধে মাদকগ্রহণ করতে দেখা যায়। তাদের কেউ কিছু বললে মারার জন্য এগিয়ে আসে। এর আগে অন্য একটি নিউজ পোর্টালের প্রতিবেদনে মাদক বিক্রির বিষয়টি উঠে আসে।

শুধু মাদক নয় মঙ্গলবার রাতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় অনেক নারী পুরুষ খোলা মেলা অবস্থায় ঘাসের ওপরে শুয়ে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ করছে।

তাদের সাথে কথা বলতে গেলে সংবাদকর্মী পরিচয় দেওয়ার পর কোনো কথা না বলে দ্রুত ঐ জায়গা ছেড়ে চলে যান।

কয়েকজন বিক্রেতা দ্যা রাইজিং ক্যাম্পাসকে বলেন রাত ১০ টার পর এখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছেলে মেয়ে আসে। তারা অবাধে যৌন কার্যকলাপ করে। কেউ তাদের কিছু বলেনা। এদের মধ্যে বেশিরভাগ ই কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন , ‘বর্তমানে দিনে-দুপুরে উদ্যানে মাদকসেবীদের অবাধ আড্ডা, উঠতি বয়সী তরুণ- তরুণীদের অসামাজিক কর্মকাণ্ড এবং রাতে যৌনকর্মীদের অবাধ বিচরণ এখন ওপেন সিক্রেট।’

দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা জানান আমরা ওপেনে এসব করতে দেখিনি। যদি আমাদের চোখে পরে আমরা তাদেরকে উদ্যান থেকে বের করে দেব।

এছাড়া সরেজমিনে ঘুরে পুলিশের কোনো তৎপরতা দেখতে পাওয়া যায়নি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.