The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ভারতের সঙ্গে কথা হবে চোখে চোখ রেখে, মাথা নিচু করে নয়: আসিফ মাহমুদ

অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সঙ্গে কথা হবে চোখে চোখ রেখে, মাথা নিচু করে নয়। কথা হবে মাথা উঁচু করে। কথা বলতে হবে সমুন্নত সম্মান দিয়ে। ভারত এতদিন একটি দলের সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু এখন আর তা হবে না। এ দেশের জনগণ পররাষ্ট্রের নীতির ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটি রাষ্ট্র বাস্তবায়ন করবে। সুতরাং জনগণের বুকে গুলি চালিয়ে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলার যে প্র্যাকটিস তারা এতদিন ধরে করে এসেছে সেখান থেকে সরে আসতে হবে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা টাউনহল মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্পিরিটকে ধারণ করে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন এবং রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বেশি কিছু চায় না। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের মত প্রকাশ করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ বিলাসিতা চায় না। যে মৌলিক অধিকার রয়েছে, সেগুলো নিশ্চিত হয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে চায়। কিন্তু একটি দীর্ঘ ফ্যাসিবাদের শাসনের যাত্রার ফলে আমরা এমনভাবে পিষ্ট হয়েছি যে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিতে গেলেও দশবার ভাবা লাগত। গান গেয়ে অনেককে জেল খাটতে হয়েছে। কবিতা লিখে জেল খাটতে হয়েছে। আজ আমরা এতটুকু স্বস্তিতে অন্তত আছি। এখন আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। কেউ আমাদের আজ বিরক্ত করছে না। র‍্যাব, পুলিশ, ডিবি বলে আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে না।

তিনি আরও বলেন, শুধু ১৬ বছর নয়, গত ৫৩ বছর ধরে এ দেশের ওপর শুধু জঞ্জাল জমা হয়েছে। আমরা খুব দ্রুত সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা করছি। কিন্তু ৫৩ বছরের জঞ্জাল একদিনে বা এক মাসে কীভাবে সমাধান করা যায় তা আমাদের জানা নেই। কিন্তু ইতোমধ্যে আমরা কিছু পরিবর্তন দেখতে পেরেছি।

অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, আপনারা বিগত ৫৩ বছরে এমন কোনো বন্যা দেখাতে পারবেন না যেখানে ত্রাণ চুরির ঘটনা ঘটেনি। এবার কিন্তু এরকম একটি ঘটনাও ঘটেনি। চাল চুরি করে, ত্রাণ চুরি করে, খাটে লুকিয়ে রাখার ঘটনা একটিও ঘটেনি। এয়ারপোর্টে আমাদের যে প্রবাসী ভাইয়েরা আমাদের দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছেন, তাদের কীভাবে লাঞ্ছিত করা হত, তাদের লাগেজে আটকে রেখে তাদেরকে কীভাবে কষ্ট দেওয়া হত। এখন কি সেটা আছে? এখন আর সেটা নেই।

আসিফ মাহমুদ বলেন, আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে তা শোনার জন্যই আমরা এখানে এসেছি। শুধু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনই নয় অন্যান্য সংগঠন যারা আছে, সাধারণ মানুষ যারা আছে, সবার কথা আমরা শুনব। তারপর একটি রূপরেখা দেব। তৈরি হবে আগামীর বাংলাদেশ।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার, সুমাইয়া আক্তার, হামযা মাহবুব, জিয়া উদ্দিন আয়ান, আলী আহমেদ আরাফ, আবু রায়হান, তাছনিয়া নাওরিন, মহিদুল ইসলাম রিন্তু, ফারিয়া রহমান, খালেদ হাসান এবং নাঈম আবেদিনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.