The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪

ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চবিতে বিক্ষোভ

চবি প্রতিনিধি : বাংলাদেশ- ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশের সন্তান স্বর্ণা দাশ ও জয়ন্ত কুমারসহ সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে(চবি) বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা, ‘সীমান্তে মানুষ মরে, এই রাষ্ট্র কি করে ‘; ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা ‘;‘ফেলানি থেকে স্বর্ণা দাস, সীমান্তে আর কত লাশ’; ‘দিল্লির দাদাগিরি, মানি না মানব না’; ‘দিল্লির আগ্রাসন, জনগণ রুখে দাও’; ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’; ‘ভারতীয় আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন প্রভৃতি স্লোগান দেন।

সমাবেশ শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সীমান্তে অসংখ্য সাধারণ মানুষ ও বিজিবির সদস্যরা নিহত হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনে সংঘটিত এইসব হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা পাইনি৷ অভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই হত্যাকাণ্ড বন্ধে কী ভাবছে তা আমরা জানতে চাই। এতোদিন যাবৎ যে অসম পানিবণ্টন চুক্তি হয়েছে, তার কারণে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যখন আমাদের পানির দরকার তখন তারা আমাদের পানি দেয় না, যখন পানির দরকার নেই তখনই পানি দিয়ে আমাদের বানের জলে ভাসিয়ে দেয়। আবার আন্তর্জাতিক নদীতে বাধ দেওয়ায় মরতে বসেছে বাংলাদেশের অনেক নদী। ভারতীয় আগ্রাসন নীতি আমাদের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়েছে।

সমাবেশ শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়ে তারা নিজেদের দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। নানাভাবে তারা এশের বাজারকে ব্যবহার করে জনগণের ভোগান্তি বাড়িয়েছে। তাই আমাদের মাথায় রাখতে  হবে, তাদেরকে এই ধরনের অপপ্রচারের সুযোগ দেওয়া যাবে না। ফেলানী থেকে শুরু করে স্বর্ণা, জয়ন্ত সকলের হত্যার বিচার চাই ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই বিষয়ে দৃশ্যমান পদক্ষেও নেওয়ার দাবি জানাই৷

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.