জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসির খাবারের মূল্য পুন:নির্ধারণ করা হয়েছে ও মূল্যতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে খাবারের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ব্যাবসায়ীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এ মুল্য নির্ধারণ করেছে বলে জানায় টিএসসি সংস্কার প্রতিনিধিরা।
মূল্যতালিকায় দেখা যায়, রং চায়ের মূল্য পূর্বের থেকে ২ টাকা কমিয়ে ৬ টাকা, দুধ চা ২ টাকা কমিয়ে ৮ টাকা, কেক পূর্বের দামের থেকে ৫ টাকা কমিয়ে ১০ টাকা, রুটি ৫ টাকা কমিয়ে ১০ টাকা, কলা ১০ টাকা, বাটার বান ২০ টাকা, সিঙ্গারা ৫ টাকা, পাকোড়া ৫ টাকা, সমুচা ১০ টাকা, ভেজিটেবল রোল ১০ টাকা, চিকেন রোল ৫ টাকা কমিয়ে ২৫ টাকা, ডিম চপ ১০ টাকা, স্যান্ডুইচ ৫ টাকা কমিয়ে ৩০ টাকা ও ডিম জালির পূর্ব দাম থেকে ৫ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা।
এছাড়া সকালের নাশতার আইটেমের মূন্যতালিকায় এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। প্রতিটি পরোটা ৬ টাকা, ডাল অথবা ভাজি ১০ টাকা, ডিম ভাজি ২০ টাকা, ডিম খিচুড়ি ৩০ টাকা করা হয়েছে।
দুপুরের খাবারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে যথাক্রমে ভাত,মাছ ও ডাল ৫০ টাকা, ভাত, মুরগী ও ডাল ৫০ টাকা, ভাত, ভর্তাও ডাল ২০ টাকা, ভাত, ডিম ও ডাল ৩০ টাকা এবং ভাত, গিলাকলিজা ও ডাল ৪০ টাকা।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ ব্যাচের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও টিএসসি সংস্কার কমিটির সদস্য সোহাগ হোসেন বলেন, “আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ মূল্যতালিকা নির্ধারণ করেছি। শিক্ষার্থীদের খাবারের মান বাড়ানো ও দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ মূল্যতালিকার সাথে ব্যাবসায়ীরা একমত হয়েছেন এবং আমাদের কথা দিয়েছেন তারা খাবারের মান ঠিক রেখে এই নির্ধারিত মূল্যে খাবার বিক্রি করবেন।”
প্রসঙ্গত গত ২রা সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৫ টি উন্নয়ন ও সংস্কারমূলক কমিটি করা হয়, যার একটি হলো টিএসসি ও ক্যাফেটেরিয়া সংস্কারমূলক কমিটি। সেই কমিটির উদ্যোগে টিএসসির খাবারের মূল্যহ্রাস করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী নিজেদের স্বার্থ হাসিলে টিএসসির দোকানীদের সাথে আলোচনা না করেই মূল্য কমায় এবং টিএসসির দোকান পরিবর্তনের জন্য পায়তারা করে। প্রতিবাদে দোকানীরা পরদিন দোকান বন্ধ রাখে। এছাড়া কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পাশের আরামবাগ হোটেল ভাঙচুরের অভিযোগ আছে। পরবর্তীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার প্রতিনিধিরা কমিটি গঠনের মাধ্যমে দোকানীদের মধ্যে সুশৃঙ্খল আনে।