কুবি প্রতিনিধি: ক্যাম্প ত্যাগ করে ঢাকায় বেআইনি সমাবেশ ও সচিবালয় ঘেরাও করার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২২ আনসার সদস্যকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী কুমিল্লা রেঞ্জ। এছাড়াও কুমিল্লা রেঞ্জের ৭৭ জনকে বহিষ্কার করা হয়।
আজ (২৬ আগস্ট) কুমিল্লা জেলা কমান্ড্যান্ট রাশেদুজ্জামান প্রতিবেদককে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পাশাপাশি এদের সকলের নামে মামলা করার কথা জানান।
চাকরিতে স্থায়ীকরণের দাবিতে কর্মবিরতিতে গিয়েছে বাংলাদেশ আনসার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের দাবি মেনে নেয়। তবে দাবি মেনে নেওয়া স্বত্ত্বেও মহাসমাবেশের ডাক দিয়ে গতকাল সচিবালয় ঘেরাও করে উপদেষ্টাদের আটকিয়ে রাখেন তারা। সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধলে ৩০ এর অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে আত্মসমর্পণ করেন তারা।
জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বমোট ৪৯ জন আনসার সদস্য দায়িত্বে পালন করে আসছিলেন। চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে গত ২২ আগস্ট তিনদিনের কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়ে ২৫ আগস্ট দায়িত্বে ফেরার কথা থাকলেও ফিরেননি তারা।এদের মধ্যে ২৩ জন কুবি ক্যাম্পে উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন ২৬ জন। এর মধ্যে ৪ জন ছুটিতে থাকলেও বাকি ২২ জন ঢাকার সমাবেশে উপস্থিত থাকার কথা নিশ্চিত করে কুবির দায়িত্বে থাকা এসিস্ট্যান্ট প্লাটুন কমান্ডার আব্দুল হক।
এদিকে কুবির ২২ আনসার সদস্যকে বহিষ্কার করা হলেও ক্যাম্পাসের দায়িত্বে ফিরতে নিরাপত্তার শঙ্কায় রয়েছেন বাকি আনসার সদস্যরা। এ বিষয়ে এপিসি আব্দুল হক বলেন, যারা ঢাকার সমাবেশে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিলো তারা প্রকৃতপক্ষে আনসার ছিলোই না। তারা ছিলো মূলতঃ দুস্কৃতিকারী। আমাদের দাবি মানা হয়েছিলো। আমরা কর্মক্ষেত্রে ফিরতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাদের জন্য আমরা এখন দায়িত্বে ফিরতে পারছি না। তাদের কারনে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
কুমিল্লা জেলা কমান্ড্যান্ট রাশেদুজ্জামান বলেন, যখন তারা কর্মসূচির ডাক দেয় তখনি তাদের বলা হয়েছিল যে আপনাদের দাবি-দাওয়া বিবেচনা করা হবে। আপনারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না। যদি করেন তাহলে কুমিল্লা রেঞ্জ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। কিন্তু তারা তা না মেনে জেলা কার্যালয় ঘেরাও করে। পরবর্তীতে সচিবালয় ঘেরাও করে অরাজকতা সৃষ্টি করে। ফলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ জনসহ ৭৭ আনসার সদস্যকে আমরা চিহ্নিত করে বহিষ্কার করেছি। তাদের পেছনে ইন্ধনদাতা কে ছিল তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এদের সকলের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
তিনি আরো বলেন, আনসারদের ইউনিট তিনটি। যারা ঢাকায় বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টি করেছে তারা চুক্তি ভিত্তিক আনসার ছিলো। তাই এদের দায়ভার অন্যরা নিবে না। এদের কারনে সকল আনসারদের ঢালাও ভাবে খারাপ বলা যাবে না।