স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত ফেনীতে বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার ও সহায়তায় ত্রাণ বিতরণ করছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। দাগনভূঞা উপজেলায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করে ট্রলার করে আরো দুর্গম এলাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ত্রাণবাহী স্বেচ্ছাসেবী দল নিয়ে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার একটি দুর্গম এলাকায় পৌঁছেন বলে ফেসবুক পেজে জানান তিনি।
এ সময় ফেসবুক লাইভে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা ফেনী থেকে দেড়-দুই ঘণ্টা ট্রাক্টর করে ধীরে ধীরে এখানে এসে পৌঁছেছি।
এখান থেকে ট্রলার করে আরো দুর্গম অঞ্চলে আমাদের যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে এখানে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। এখানে একটি ওরফান সেন্টার রয়েছে। এখানে যারা আশ্রয় নিয়েছে তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে আরেক পোস্টে ৫০ হাজার পরিবারের জন্য ভারী খাবারের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার পরিবারের জন্য শুকনা খাবারের প্যাকেজের কিছু অংশের কাজ শেষ হয়েছে। এই কাজ শেষ হতে আরো দুই দিন লাগবে।
তা ছাড়া ৪০ হাজার পরিবারের জন্য ভারী খাবারের পরিকল্পনা থাকলেও তা বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার করা হয়েছে। ভারী খাবারের কিছু অংশের কাজও সম্পন্ন হয়েছে আজ।
শায়খ আহমাদুল্লাহ আরো জানান, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর চার হাজার পরিবারের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা থাকলেও এখন তা বাড়িয়ে পাঁচ হাজার করা হয়েছে। ঘর হারানো পাঁচ হাজার পরিবারকে টিন ও নগদ অর্থ সহায়তা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
এর আগে গত ২২ আগস্ট এক ফেসবুক পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার ও সহায়তায় ৫০০ টন ত্রাণ নিয়ে পাশে দাঁড়াবে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
তাৎক্ষণিক ১০ টন খেজুর, ১০ টন চিড়া, ৫ টন চিনি, ৫ টন লবণ ও অন্য ত্রাণসামগ্রী নিয়ে তিনটি ট্রাক ফেনীর উদ্দেশে চলে গেছে। আজ ও কাল সেসব মাল পাঁচ হাজার পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হবে।