নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘সংবর্ত-৩৬’ নামে পেইজ থেকে এক লাইভে ’লিল্লাহি তাকবির’ শব্দে আপত্তি জানানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বটতলা প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া বাজার হয়ে একই স্থানে এসে মিলিত হয়। পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সকলে একটি পরিচয়ে পড়াশুনা করে করবে আর তা হলেো আমরা সবাই মানুষ। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে কিন্তু এদেশে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীর দোসররা রয়ে গেছে। ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করে তারা দেশকে সাম্প্রদায়িক করতে চাচ্ছে। মুসলমান বেঁচে থাকতে এদেশকে তা আমরা হতে দিবো না। আমরা হিন্দুদের পূজায় পাহারা দিবো, খ্রিস্টানদের গীর্জায় পাহারা দিবো, বৌদ্ধদের তীর্থে পাহারা দিবো। সকল ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ গড়বো।
প্রসঙ্গত, বুধবার দিবাগত রাতে ‘সংবর্ত-৩৬’ নামক ফেসবুক পেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হোস্ট জান্নাত মীমের আমন্ত্রণে ‘জুলাইয়ের দিনগুলো’ নিয়ে এক স্মৃতিচারণমূলক ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফেসবুক লাইভে সে বিষয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। ফলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ফেসবুক লাইভে এনে হেনস্তার অপচেষ্টা চালানো হয় বলে অভিযোগ তাদের। সমন্বয়করা জানান, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাদেরকে আমন্ত্রণ জানান আয়োজকরা।
এদিকে সংবর্ত-৩৬ ব্যাচ থেকে আয়োজনের বিষয়ে কিছুই জানেন না ব্যাচের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে এ বিষয়ে সংবর্ত-৩৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জানান, কয়েকজনে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যের লক্ষে এ কাজটি করেছে। অথচ আমাদের ব্যাচের ওই কয়েকজন ছাড়া কেউ জানে না ব্যাচের পেইজ থেকে লাইভ হবে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ লাইভের মাধ্যমে তারা আমাদের ব্যাচের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।