শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন দপ্তর প্রধানরা পদত্যাগ করছেন। বিশেষ করে গত সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা এক্ষেত্রে এগিয়ে। ব্যতিক্রম শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক, অধিদপ্তরের মাধ্যমিকসহ বিভিন্ন উইংয়ের পরিচালকরা। তারা এখনও আছেন বহাল তবিয়তে।
অথচ মাউশির ইতিহাসে প্রথমবারের চুক্তিভিত্তিতে নিয়োগ পান মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের ভাগনে। তার মা কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেত্রী।
এবার তাদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুঁইয়া।
বুধবারের (২১ আগস্ট) মধ্যে ঘোষিত আল্টিমেটামের মধ্যে পদত্যাগ না করলে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) অধিদপ্তর ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
সেলিম ভূইয়া বলেন, তিনি সরকারের মহাপরিচালক নন, আওয়ামী লীগের মহাপরিচালক ছিলেন। তাই স্বৈরাচার পতনের পর তাদের কোনো দোসর এখানে থাকতে পারে না। তার স্বেচ্ছায় চলে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি সেটি করেনি। তাই তার পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম দিলাম।
তিনি জানান, শুধু নেহাল আহমেদ না, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে মাউশির মহাপরিচালক ও অধিদপ্তরের মাধ্যমিকসহ বিভিন্ন উইংয়ের পরিচালকরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের পক্ষ থেকে পরের দিন অর্থাৎ আগামী বৃহস্পতিবার মাউশি ঘেরাও করা হবে।
অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া বলেন, আজকের মধ্যে দুর্নীতিবাজ এসব কর্মকর্তারা পদত্যাগ না করলে অধিদপ্তর ঘেরাও করা হবে। শিক্ষা প্রশাসনে শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অতিসত্বর পদত্যাগ করা জরুরি। আগের সরকারের লেজুড়বৃত্তি করা এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।