The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪

ঢাবি গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত ৭২-৭৫ সালের পত্রিকা পড়তে পারছেন পাঠক!

প্রায় এক যুগ পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে রাখা ১৯৭২-৭৫ সালের পত্রিকাগুলোর ‘হার্ড কপি’ (ছাপা কাগজ) উন্মুক্ত করা হয়েছে।

গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর অনেকটা অঘোষিতভাবে সবার জন্য সেগুলো উন্মুক্ত করা হয়। এখন ওই চার বছরের পত্রিকা সবাই দেখতে ও পড়তে পারছেন।

জানা গেছে, ২০১২-১৩ সালের দিকে ‘টেকনিক্যাল কারণ’ দেখিয়ে পত্রিকার হার্ড কপি শিক্ষার্থীদের জন্য অলিখিতভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

সে সময় শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও গবেষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক বরাবর লিখিত কারণ দর্শিয়ে পত্রিকার ছাপা অংশটির স্ক্যান করা কপি প্রিন্ট করে দেওয়া হতো। কেউ চাইলেও এর মূল কপি দেখতে পেত না।

সুনির্দিষ্টভাবে কোন তারিখ থেকে এসব পত্রিকা দেখানো বন্ধ করা হয় সংশ্লিষ্টদের কেউ তা সঠিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেননি। একজন উপ-গ্রন্থাগারিকের মতে, ২০১২-১৩ সালের দিকে ‘টেকনিক্যাল কারণে’ সব পত্রিকার কপি দেখানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই হিসাবে প্রায় ১ যুগ পর সবার জন্য উন্মুক্ত করা হলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এম এইচ ইমরান বলেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী দেশের পরিস্থিতি কেমন ছিল তা জানার জন্য আর্কাইভ সেকশনে গেলে তারা আমাকে ১৯৭২-৭৫ সালের পত্রিকা দেখায়নি। সেগুলো ছিঁড়ে গেছে বা দেখানোর উপযুক্ত নয় বলে জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত উপ-গ্রন্থাগারিক মীর নজরুল ইসলাম বলেন, এই আর্কাইভগুলোর হার্ড কপি দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে যার প্রয়োজন সে অনলাইন সেকশন থেকে নিতে পারত।

আরেক উপ-গ্রন্থাগারিকের ভাষ্যমতে, সবাই এসে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের পত্রিকা দেখত। পরে সেগুলোর এমন অবস্থা হয়েছে ধরলেই ছিঁড়ে যায়। সংরক্ষণ ও ডিজিটালাইজেশনের জন্য সেগুলো আলাদা স্টোরে রাখা হয়। কেউ কেউ বলছে, আমরা ইতিহাস গোপন করছি, কিন্তু বিষয়টি সত্য নয়।

সার্বিক বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. মো. নাসিরুদ্দিন মুন্সী বলেন, এই রেকর্ডগুলো আমাদের আর্কাইভে থাকলে সবাই পাবে। মাঝে বিচার বিভাগের কমিশনের মামলার সুবিধার জন্য কিছু ডকুমেন্টস তারা পিক করে নিয়েছিল। এখন থেকে সেগুলোর হার্ড কপি সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

সূত্রঃ ঢাকা পোস্ট

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.