নিটার প্রতিনিধিঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ও উপাদানপ্রকল্প প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার)। নিটারের মেয়ে শিক্ষার্থীদের থাকার সুবিধার্থে রয়েছে একটি ছাত্রী হোস্টেল এবং কোয়ার্টার। যেখানে সুযোগ-সুবিধা ও আসনের সংকট আছে বলে ছাত্রীরা অভিযোগ করেন।
যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে শিক্ষার্থীদের আবাসিক আশ্রয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। নিটারে হলে আবেদনের পর একজন ছাত্রীর হল মনোনয়নের পর এক বছরের জন্য গুনতে হয় ৬৬০০/= টাকা এবং নতুনদের জন্য এককালীন ফেরতযোগ্য জামানত হিসেবে ২৫০০/= টাকাসহ সর্বমোট ৯১০০/= টাকা ধার্য করা হয়। খাবার পানির ব্যবস্থা, ওয়াশরুম ও গোসলখানার সুব্যবস্থা, ওয়াশিং মেশিনের ব্যবস্থা, বিনোদনের জন্য ইনডোর ও আউটডোর গেইমের সুব্যবস্থা, প্রতি ফ্লোরে রান্নার জন্য রান্নাঘর ও গ্যাসের ব্যবস্থা, বিনামূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা ইত্যাদি সুবিধার পাশাপাশি নিটারের ছাত্রী হোস্টেল নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন চাপা ক্ষোভ ও অভিযোগ উঠে এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভর্তির পর ছাত্রী হিসেবে হলই তার জন্য নিরাপদ বলে অভিভাবকরা নিশ্চিন্ত থাকেন। সরেজমিনে দেখা যায়, নিটারের ছাত্রী হোস্টেলে আসন সংখ্যার ঘাটতি থাকার কারণে নবীন ছাত্রীদের ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেকেই নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়। শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্রী হোস্টেল এবং কোয়ার্টারে সুবিধার পাশাপাশি বেশকিছু সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। ক্যান্টিনের অবস্থান ছাত্র হোস্টেলের সাথে হলেও ছাত্রী হোস্টেলে আলাদা কোনো ক্যান্টিন ব্যবস্থা নেই। রাত আটটার মধ্যে হলে ঢোকার নিয়ম থাকায় অনেকে সন্ধ্যার আগেই বাইরে থেকে খাবার আনেন। ফলে দেখা যায় রাতের খাবার অনেকক্ষেত্রে নষ্ট হয়ে যায়। এ ঝামেলা এড়াতে অনেক শিক্ষার্থী গ্যাসের চুলা ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রেও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। যথাযথ গ্যাস সরবরাহ না থাকার কারণে রান্না করাটাও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা আরো জানান, ছাত্রী হোস্টেলের তৃতীয় তলায় টিনশেড থাকার কারণে অসহনীয় গরম সহ্য করতে হয়। বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা থাকলেও তা অপর্যাপ্ত, সরবরাহ ও যথাযথ নয়। এসব বিষয়ে হল সুপারিন্টেন্ডেন্ট কে বলা হলে তিনি ব্যবস্থা নেন। সাময়িকভাবে এগুলোর সুরাহা হলেও স্থায়ী সমাধান হয় না বলে জানান শিক্ষার্থীরা। ছাত্রী হোস্টেল ও কোয়ার্টারে গোসলখানা ও ওয়াশরুমের ব্যবস্থা থাকলেও অপরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে জানা গেছে।
ছাত্রী হোস্টেলে লোডশেডিং এর ব্যাপারে ও ক্ষোভ শিক্ষার্থীদের। অতিরিক্ত গরমে তাদের পড়াশোনার উপর ও খারাপ প্রভাব পড়ছে বলে জানান তারা। নামাজের জন্য আলাদা স্থান থাকলেও কোনো রুম বরাদ্দ নেই, এমনটাও জানা যায়। ছাত্রী হোস্টেলে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবস্থা না থাকার কারণে উচ্চদামে খারাপ মানের ওয়াইফাই ব্যবহার করতে হচ্ছে বলে জানান সাধারণ ছাত্রীরা।
নিটারের ছাত্রীরা সকল সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধান পাবেন বলে আশাবাদী!