বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে সকল ধরণের লেজুড়বিত্তিক রাজনীতি বন্ধের জন্যে বিক্ষোভ মিছিল এবং স্পষ্ট বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও স্পষ্ট বিবৃতিতে বিভিন্ন সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের গণ তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে শাস্তিরও দাবি জানানো হয়।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিকাল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড় হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনের রাস্তা প্রদক্ষিণ করে কে আর মার্কেট হয়ে আবার আব্দুল জব্বার মোড়ে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ শেষে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেজুড়বিত্তিক ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি বন্ধের বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।সমাবেশ শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সকল ধরণের রাজনীতি বন্ধের দাবিতে একটি স্পষ্ট বিবৃতি সকলের সামনে উপস্থাপন করেন।
স্পষ্ট বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষার্থীদের আগামীকালের (১৩ আগস্ট) মধ্যে বাকৃবি থেকে সকল ধরনের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর লেজুড়বিত্তিক রাজনীতি চিরতরে বন্ধের সুষ্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে। একই সাথে দলীয় রাজনীতির ব্যানারে যে সকল শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদস্যবৃন্দ এতোদিন সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর বিভিন্ন নির্যাতন নিপীড়নের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো তাদেরকে ‘গণ তদন্ত কমিশনের’ মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা যেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছদ্মবেশে হলে অনুপ্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, গতকাল (১১ আগস্ট) আমাদের সাথে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের মুক্ত আলোচনা হয়। সেখানেই আমরা বলে দিয়েছি আমরাও চাই ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ হউক। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গতকাল পদত্যাগ করেছেন। তাই এখন যেহেতু ক্যাম্পাসে কার্যত প্রশাসন নেই। নতুন উপাচার্য নিয়োগ হলে শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা আলোচনা করে সবকিছু ঠিক করবো। দলীয় রাজনীতির ব্যানারে যে সকল শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদস্যবৃন্দ এতোদিন সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর বিভিন্ন নির্যাতন নিপীড়নের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো তাদেরকে গণ তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের বিষয়টি আমিই শিক্ষার্থীদের সামনে মুক্ত আলোচনায় উপস্থাপন করেছিলাম। যা অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।