যাত্রাবাড়ী থানায় কোনো পুলিশ নেই। ভুক্তভোগী মানুষের বিভিন্ন অভিযোগ নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী থানাপুলিশের নির্বিচারে গুলিতে অসংখ্য ছাত্র-জনতা নিহত ও আহত হন। বিক্ষুব্ধ জনতা ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তার আগে সেনাবাহিনীর সদস্যরা থানায় অবরুদ্ধ থাকা পুলিশ সদস্যদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়। ৯/১০ জন পুলিশ গণপিটুনিতে ও আগুনে পুড়ে নিহত হন। এর পর থেকে থানায় কোনো পুলিশ যোগদান করেননি।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরও থানায় কোনো পুলিশ সদস্য যোগদান করেননি। যার ফলে মানুষ থানায় বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা তাদের অভিযোগ নিচ্ছেন। শনিবার যাত্রাবাড়ী থানায় এমন দৃশ্যই দেখা মেলে।
যাত্রাবাড়ী থানার সামনে টিনশেডে একাধিক শিক্ষার্থী মানুষের অভিযোগ নিতে দেখা যায়। এসময় তাদের কয়েকটি রেজিস্টার্ড খাতায় অভিযোগকারী ও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের নাম লিখতে দেখা যায়।
সহকারী ছাত্র সমন্বয়ক আল আমিন বলেন থানায় কোনো পুলিশ যোগদান করেননি। তবে সকালে দুজন ও বিকালে চারজন পুলিশ আসেন। তারা ছাত্রদের রেজিস্টারে নাম স্বাক্ষর দিয়ে চলে গেছেন।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, থানায় কোনো পুলিশ না থাকায় ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগ আমরাই নিচ্ছি। ছোটখাটো অভিযোগ হলে আমরা শিক্ষার্থীরা টিম গঠন করে তদন্তপূর্বক তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর জটিল অভিযোগ হলে সেনাবাহিনীর নিকট পাঠিয়ে দিই। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে জমিদখল, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ভাঙচুর ও দোকান লুটপাট।
শুক্রবার প্রায় শতাধিক এবং শনিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৫০টিরও অধিক অভিযোগ করেছেন মানুষ।