জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান ঘোষণা দিয়েছেন, বাজারব্যবস্থাপনার অনিয়ম ও অবৈধ সিন্ডিকেটের নথিপত্র তুলে দেওয়া হবে ছাত্রদের হাতে।
রোববার (১১ আগস্ট) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকিসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন এএইচএম সফিকুজ্জামান। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক কথা বলেন ।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শহীদেরা বীর উল্লেখ করে ভোক্তার ডিজি বলেন, আমি হলে তাদের মতো দাঁড়াতে পারতাম না। ৯০-এর পর আমরা যেটা পারিনি সেটা তোমরা করতে পেরেছো। আমরা এখন তোমাদের নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
এ ছাড়া করপোরেট গ্রুপকে বাজার সিন্ডিকেটের মূলহোতা বলেন তিনি।
যেখানে হাত দেওয়া হচ্ছে, সেখানেই অনিয়ম দেখা যাচ্ছে বলে তিনি আরও জানান, অনেকের সামনে মিডিয়া ক্যামেরা নিয়ে যেওয়া হয়েছে। এরপরও অনেক অনিয়ম বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। আমরা শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করতে চাই। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা যেখানে হাত দেবে, সেখানে সোনা ফলবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। অনিয়মের নথিপত্র শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ডকুমেন্টগুলো সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা বিশ্লেষণ করে দেখবে।
ফেসবুকে বিভিন্ন ভুয়া তথ্য প্রচার হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সেসব ভুয়া জিনিস তদারকি করতে হবে। যে বাংলাদেশ আমরা চেয়েছিলাম সেটা নির্মাণ সম্ভব হবে যদি সবাই পাশে দাঁড়ায়। ভোক্তা পরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান আরও বলেন, চাঁদাবাজি কমেছে কিন্তু পণ্যের দাম কমেনি। সেটাও ভালোভাবে দেখতে হবে। শ্যামবাজার থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত ৩টি জায়গায় চাঁদাবাজি করা হয়; সেটি দ্রুত বন্ধ করতে হবে।