The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

জাবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার মদদের অভিযোগে ভিসির পদত্যাগ চান আহত শিক্ষক

জাবি প্রতিনিধি: ১৫ জুলাই রাতের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার মদদে অভিযোগ করে ভিসির পদত্যাগ চান ওই রাতে আহত শিক্ষক ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. খো. লুৎফুল এলাহী।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ড. খো. লুৎফুল এলাহী বলেন, ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় যখন সংবাদ পাই ছাত্রলীগের সাথে সাধারন শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের কথা এবং যখন জানতে পারি পরিবেশ বিজ্ঞান ও সিএসসি বিভাগের সামনে শিক্ষার্থী আটকে আছে তখন আমি অধ্যাপক জামালুদ্দিন রুনু ও অন্য একজন শিক্ষককে সাথে নিয়ে সেখানে যাই। তবে কাউকে পাইনি কিন্তু তিনজন শিক্ষার্থীকে মূর্মুষূ অবস্থায় পাই এবং তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করি।

আবার যখন সাড়ে ১১টার দিকে জানতে পারি উপাচার্যের ভবনের সামনে প্রায় ২০০/৩০০ বহিরাগত সন্ত্রাসী মুখে কাপড় বাধাঁ ও হেলমেট পরা বহিরাগত টোকাই আক্রমণ করছিল।

আমি কাছেই ছিলাম তবে একা থাকায় কিছু করতে পারি নাই। তবে যখন সন্তাসীরা রামদা, ককটেল, ইট ছুড়ছিল তখন আমি শঙ্কিত হয়ে পড়ছিলাম।যখন পুলিশ ভিসি ভবনের গেইটে অবস্থান নেয় তখন আশ্বস্ত হলেও আমি অন্যান্য শিক্ষকদের সাহায্য কামনা করি তখন কামরুজ্জান স্যার, মাহফুজ স্যারসহ বেশ কিছু শিক্ষক আসে। তখন ভিসি ভবনের সামনে থেকে প্রক্টর ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে কল দিই যেন ভিসি ভবনের সামনে আটকে পরা নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদে হলে পৌছে দেয়। কিন্তু প্রক্টর আলমগীর কবির, উপ-উপাচার্য, অধ্যাপকবশির আহমেদ ওরা বলে তাদের যেন আমরা বোঝাই, কিন্তু যখন আমরা সেখানে যায় তখন শিক্ষার্থীরা বাঁচাও বাঁচাও বলতেছিল। তখনও উপাচার্যের গেস্ট রুমের দরজা পর্যন্ত খুলেনি।

তিনি আরো বলেন, আমরা যখন ছাত্রদের নিয়ে চলে যাব তখন প্রক্টর, উপ-উপাচার্য কেউ ছিলেন না, পুলিশ গেইট ছেড়ে দিয়েছিল। তখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ও বহিরাগত টোকাইরা আক্রমণ করে আমরা শিক্ষকরা প্রাণপণ চেষ্টা করি যেন শিক্ষার্থীরা হতাহত না হয় তবে সেই সময় কাঁচের বোতল ককটেলের কারণে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পরি। আমরা একে অপরে জড়িয়ে ধরে মাথা নত করে বাঁচার চেষ্টা করি এক সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসে আমাদেরকে বাঁচায় তবে সামনে এক জায়গায় সংর্ঘষ হচ্ছিল আমরা যখন সামনে এগিয়ে যায় পুলিশ বা কারা জানি গুলি ছুড়ছিল তখন তাই আমি কাঠালগাছের এদিকে আসি এক সময় দেখতে পারি আমার হাত, মাথা ও চোখ থেকে রক্ত পরতে থাকে। চোখে স্পিন্টার ঢুকেছে কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম না। প্রক্টর এর উচিত ছিল আমাদেরকে সেইফ করা তা না করে তারা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের রেখে পুলিশকে কোনো নির্দেশনা না দিয়ে চলে যায়।

বর্তমানে অধ্যাপক এলাহী পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষমান রয়েছেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.