ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলি ছোড়া যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ওই যুবকের নাম হাসান মোল্লা৷ তিনি ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন৷
সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে চলমান আন্দোলনে ‘রাজাকার’ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এ বক্তব্য প্রত্যাহার এবং সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের এক দফা দাবিতে সোমবার সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দেন তারা। সেই কর্মসূচি ঘিরে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে এক যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।
পরে সেই ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, কার্জন হল এলাকায় নির্মিতব্য আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের নিচে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল গেটে এক যুবক আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসান মোল্লা নামের ওই যুবক ঢাকা কলেজের ছাত্রাবস্থায় থাকতেন কলেজের আখতারুজ্জামান ইলিয়াস হলে৷ ছাত্রজীবনের শুরুতেই ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন৷ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের কমিটিতে কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক পদে ছিলেন৷
ঢাকা কলেজের সাবেক কয়েকজন সোমবার দিনগত রাতেশিক্ষার্থী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন৷
জানা যায়, হাসান মোল্লা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসারের ভাগ্নে৷ যাকে ক্যাসিনো-কাণ্ডে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। হাসান বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ড, গৃহায়ণ ও গণপূর্তের অন্যতম একজন ঠিকাদার৷ মালিক বনেছেন কয়েকশো কোটি টাকার।
জানা গেছে, অস্ত্রধারী হাসান মোল্লার বিরুদ্ধে এর আগেও কয়েকজনকে গুলিবিদ্ধ করার অভিযোগ আছে। তবে তার ব্যবহৃত অস্ত্রের লাইসেন্স আছে কি না, তা জানা যায়নি। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ।