চবি প্রতিনিধিঃ কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দিয়ে সড়কেই বই নিয়ে পড়তে বসেন চবির শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বাদ দিয়ে রাস্তায় আন্দোলন অযৌক্তিক, এই কথা আমাদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ করেছে। তাই আমরা ছাত্রসমাজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোটাপ্রথার যৌক্তিক সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথই হবে আমাদের পড়ার টেবিল।’
তারা আরও বলেন, আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই থাকব এবং এটাই হবে আমাদের পড়ার টেবিল। অতএব প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ দাবি মেনে নিয়ে আমাদের পড়ার টেবিলে ফিরতে দিন।
বুধবার (১০ জুলাই) পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টায় নগরীর দেওয়ানহাট ওভারব্রিজের নিচে রেললাইনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ১টা থেকে নগরীর টাইগারপাস অবরোধ করেন তারা।
এসময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ও কক্সবাজার রুটসহ সারা দেশের সঙ্গে রেলযোগাযোগ বিচ্ছিন্নসহ সড়কপথে আগ্রাবাদ-বহদ্দারহাট ও নিউমার্কেটগামী সব যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
আন্দোলনরত চবি শিক্ষার্থী ইয়াসির আরফিন জানান, সারা দেশের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা মিলে চট্টগ্রামে রেল ও সড়ক অবরোধ করেছি। আমাদের এই কর্মসূচি সূর্যাস্ত পর্যন্ত চলতে থাকবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘একাত্তরের পথ ধরো, বাংলা ব্লকেড সফল করো’, ‘ব্লকেড ব্লকেড, বাংলা ব্লকেড’, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।