বিশ্বের বসবাসযোগ্য ১৭৩টি শহরের তালিকায় দুই ধাপ অবনতি ঘটেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার। গত বছর এই তালিকায় ১৬৬তম স্থানে থাকলেও চলতি বছর দুই ধাপ পিছিয়ে ১৬৮তম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।
বুধবার যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের সহযোগী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) প্রকাশিত বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বর্তমানে পাকিস্তানের করাচির একধাপ ওপরে এবং জিম্বাবুয়ের হারারে শহরের একধাপ নিচে ঢাকার অবস্থান। এই তালিকায় ২০২১ সাল থেকে অব্যাহত ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের রাজধানী শহর কিয়েভ বাংলাদেশের ঢাকার তুলনায় তিন ধাপ ওপরে আছে।
২০২৩ সালের মতো চলতি বছরও ইআইইউয়ের বিশ্বের শীর্ষ বসবাসযোগ্য শহর নির্ধারিত রয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। ভিয়েনার পরই দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন ও সুইজারল্যান্ডের জুরিখ। এছাড়া চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ও কানাডার ক্যালগেরি শহর।
গত বছর ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের এই সূচকে ১৬৬তম অবস্থানে ছিল ঢাকা। গত বছরের তুলনায় এ বছর ঢাকায় মানুষের জীবন-যাপনের মানের কোনও উন্নতি ঘটেনি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা এ বছর ১৭৩টি শহরের মধ্যে ১৬৮তম স্থানে আছে।
প্রত্যেক বছর বাসযোগ্যতার বিচারে বিশ্বের বড় শহরগুলোর তালিকা প্রকাশ করে ইআইইউ। স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো— এই পাঁচ সূচকের ওপর ভিত্তি করে বাসযোগ্য শহরের তালিকা তৈরি করা হয়।
মোট ১০০ পয়েন্টের মধ্যে যে শহর যত বেশি পায়, তালিকায় সেটির অবস্থান থাকে তত ওপরে। চলতি বছর ১৭৩টি শহরের সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে। ইআইইউয়ের দ্য গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স ২০২৪ এ দেখা গেছে গত বছরের তুলনায় দুই ধাপ পিছিয়ে গেছে ঢাকা। অর্থাৎ বাসযোগ্যতার দিক থেকে খারাপ অবস্থানে থাকা শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা ষষ্ঠ স্থানে আছে।
ইআইইউয়ের এই তালিকায় এ বছর ১৬৮তম স্থানে থাকা ঢাকার অবনতির প্রধান কারণ ছিল শিক্ষার সহজলভ্যতা ও গুণগত মানের পতন। এ বছর স্থিতিশীলতায় ৫০, স্বাস্থ্যসেবায় ৪১ দশমিক ৭, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৪০ দশমিক ৫, শিক্ষায় ৬৬ দশমিক ৭ এবং অবকাঠামোতে ২৬ দশমিক ৮ পয়েন্ট পেয়েছে ঢাকা।
ইআইইউয়ের বিশ্বের বসবাসযোগ্য ১৭৩টি শহরের তালিকায় একেবারে তলানিতে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক। এরপর লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি ১৭২তম, আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্স ১৭১তম, নাইজেরিয়ার লাগোস ১৭০তম, পাকিস্তানের করাচি ১৬৯তম স্থানে রয়েছে।
সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট