The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২৪শে অক্টোবর, ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম ভেঙ্গে পদোন্নতি লাভের অভিযোগ

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রচলিত নিয়ম ভেঙ্গে উচ্চমান সহকারী থেকে উর্ধ্বতন সহকারী পদে পদোন্নতি লাভের অভিযোগ উঠেছে একজন নারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে। ওই কর্মচারীর নাম জিনাত ফাতিমা। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পট্রোলার অফিসের হিসাবরক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উচ্চমান সহকারী থেকে ঊর্ধ্বতন সহকারী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রশাসন। যেখানে আবেদনের সর্বশেষ তারিখ ছিল ওই বছরের ২৫ জুলাই পর্যন্ত। কিন্তু এর পরেও নভেম্বর মাসে করোনার কারণ দেখিয়ে কোনরকম পুনঃবিজ্ঞপ্তি ছাড়া ওই কর্মচারীর আবেদন গ্রহণ করা হয়। এসব ক্ষেত্রে সেসময় ওই কর্মচারীর ঘনিষ্ঠ ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ২/ কাউন্সিল) বি.এম. কামরুজ্জামান তাকে সহযোগিতা করেন বলে একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, নিয়ম ভেঙ্গে আবেদন পত্র জমা দানের বিষয়টি সেসময় কামরুজ্জামান চেপে (আড়াল করা) যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, চাকরি ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ডেডলাইনের পরে আবেদন জমা নেওয়ার নজির আমি ক্যাম্পাসে আর দেখিনি। একমাত্র জিনাত ফাতেমার পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিএম কামরুজ্জামান সাহেব বিষয়টি বিবেচনা করেছিলেন বলে জানি। কিন্তু ওনার দায়িত্বের জায়গা থেকে তিনি পুনঃবিজ্ঞপ্তি না দিয়ে বিলম্বে কারো জমাদানকৃত আবেদন পত্র গ্রহণ করতে পারেন না। এটা বিধিবহির্ভূত কর্মকান্ড। এধরনের দৃষ্টান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাম্য নয়।

এদিকে সম্প্রতি উর্ধ্বতন সহকারী থেকে প্রশাসনিক অফিসার পদে পদোন্নতি লাভের এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই নিয়োগ সভা আগামী ২৫ শে জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে জিনাত ফাতিমা তার পদোন্নতি লাভের জন্য চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

তবে এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে জিনাত ফাতিমার মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ভুল নাম্বারে কল করেছেন বলে কেটে দেন।

অন্যদিকে এবিষয়ে প্রশাসন ২/ কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি রেজিস্ট্রার বি.এম. কামরুজ্জামান বলেন, ওই নারী কিভাবে বিলম্বে আবেদন করে পদোন্নতি পেয়েছেন সে বিষয়ে অফিসে ফাইল রয়েছে। সেটা দেখলে বুঝতে পারবেন। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ২) এবিএম আজিজুর রহমান মুকুল বলেন, ঘটনাটি যেসময়ের সেসময় এ সেকশনে আমি দায়িত্বে ছিলাম না। তবে ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছিনা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে আমি পুরোপুরি অবগত না। এ মুহূর্তে এ বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই।

 

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.