The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪

ফুটবল মহানায়ক লিওনেল মেসির জন্মদিন আজ

ফুটবল বিশ্বের বিস্ময়কর এক নাম লিওনেল মেসি। যার ফুটবল জাদুতে মুগ্ধ পুরো ফুটবল বিশ্ব। ক্লাব কিংবা জাতীয় দল, সব জায়গা দেখিয়ে চলেছেন পায়ের কারুকাজ। আর্জেন্টাইন জাদুকরের আজ ৩৭তম জন্মদিন।

১৯৮৭ সালের ২৪ জুন; জর্জ মেসি ও সেলিয়া কুচেত্তিনির ঘর আলো করে জন্ম নেন লিওনেল আন্দ্রেস মেসি কুচেত্তিনি (সংক্ষেপে লিওনেল মেসি)। জর্জ মেসি ও সেলিয়া কুচেত্তিনির সংসারের তৃতীয় সন্তান হিসেবে জন্ম নেন লিওনেল মেসি।

লিওনেল মেসি, বাঁ পায়ের জাদুতে মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন কোটি ভক্তকে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সর্বকালের অন্যতম সেরাদের একজন হিসেবে। শুধু তাই নয়, অনেকের কাছে তিনিই সর্বকালের সেরা। ফুটবলে একজন ফুটবলারের পক্ষে যা যা অর্জন করা সম্ভব তার সব অর্জন করেছেন এই ফুটবলার।

শৈশবে হরমোনজনিত সমস্যায় ভুগলেও সৃষ্টিকর্তা হয়তো চাননি এমন প্রতিভার বিকাশে কোনো কিছু বাধা হয়ে দাঁড়াক। এক টিস্যু পেপারে চুক্তি স্বাক্ষর করে তাকে স্পেনে নিয়ে আসে বার্সেলোনা ক্লাব কর্তৃপক্ষ। বাকিটুকু ইতিহাস। বার্সাকে সব ধরণের সাফল্য এনে দিয়েছেন মেসি। বার্সেলোনার গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব ফুটবলের সেরার সিংহাসন দখল করেছেন তিনি।

৬ বছর বয়সে নিউওয়েলস অল্ড বয়েজ ক্লাবে যোগ দেন মেসি। সেখানে ৬ বছর খেলেন তিনি। এই ৬ বছরে তার পা থেকে গোল আসে প্রায় ৫০০। আর সেই সুবাদে তখন তার নাম হয় ‘৮৭ এর গোল মেশিন।’

১০ বছর বয়সে গ্রোথ হরমোন ডেফিসিয়েন্সি নামক এক রোগ বাসা বাধে তার দেহে। যে কারণে থমকে যায় তার দেহের বৃদ্ধি। প্রতিমাসে তার এই রোগের চিকিৎসার জন্য খরচ হতো ১ হাজার ডলার। প্রথমে তার ক্লাব নিউওয়েলস সেই খরচে অংশীদার হতে চাইলেও পরে হাত গুটিয়ে নেয় তারা।

পরে রিভারপ্লেট ক্লাব তাকে দলে ভিড়িয়ে চিকিৎসা খরচ বহন করতে চাইলেও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে যায় তারাও। যে কারণে শঙ্কা দেখা দেয় মেসির বেড়ে ওঠা নিয়ে। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে বার্সেলোনা তার জুনিয়র দলের জন্য মেসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। এরপর শুরু হয় তার চিকিৎসা। ১৪ বছর বয়সে এসে শেষ হয় তার চিকিৎসা।

২০০৫ সালে নিজের ১৮তম জন্মদিনের দিন মেসি যোগ দেন বার্সেলোনার মূল দলে। সেই থেকে শুরু। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকানো লাগেনি তারকা এই ফুটবলারকে। ২০০৬ সালে বিশ্বকাপে অভিষেক হয় তার।

২০০৮-০৯ মৌসুমে প্রথম ট্রেবলের স্বাদ পান মেসি। ২০০৯-১০ মৌসুমে জেতেন প্রথম ব্যালন ডি’অর।

২০১২ সালটা ছিল মেসির রেকর্ড গড়ার বছর। এ বছরই প্রথম এক ম্যাচে পাঁচ গোল দেওয়ার রেকর্ড গড়েন তিনি। সে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতাও ছিলেন তিনি। সে বছরেই মেসি বনে যান বার্সেলোনার সর্বোচ্চ গোলদাতা।

২০১৪-১৫ মৌসুমে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ট্রেবল জয় করেন মেসি। ২০১৯-২০ মৌসুমে রেকর্ড ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর নিজের ঝুলিতে পুরেন মেসি। ২০২১ সালে তিনি বার্সেলোনার সঙ্গে দুই দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করে পাড়ি জমান ফ্রান্সের প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে।

২০১৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কাছে স্বপ্নভঙ্গের পর সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই যেন ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মেসি। ফিনালিশিমা, ফিনালিশিয়া, কোপা আমেরিকা জয়ের পর ২০২২ সালের বিশ্বকাপে এসে ক্যারিয়ারের একমাত্র অপূর্ণতাটা পূর্ণ হয় ক্ষুদে এই জাদুকরের। লুসাইল স্টেডিয়ামে সেই ফ্রান্সকেই হারিয়ে স্বাদ নেন বিশ্বকাপের।

সম্প্রতি পিএসজির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। মেজর লিগের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে নতুন ঘর বেঁধেছেন তিনি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.