বিয়ে হলো একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি, যার মাধ্যমে দুইজন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তবে বয়স হওয়ার পরেও বিয়ে করেননি ৩৫.৮ শতাংশ পুরুষ। আর এ জন্যই দেশে নারীর তুলনায় অবিবাহিত পুরুষের সংখ্য ১৪ শতাংশ বেশি। অপরদিকে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ নারী প্রাপ্তবয়স্ক হয়েও এখনো বিয়ে করেননি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩’-এর প্রকাশিত ফলাফলে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গত ৫ জুন বিবিএসের ওয়েবসাইটে জরিপ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
অবিবাহিত পুরুষের সংখ্যা যেমন নারীর চেয়ে বেশি, তেমনি নারীর চেয়ে পুরুষের একাধিক বিয়ে করার হারও বেশি। একবারের বেশি বিয়ে করেছেন এমন পুরুষের হার প্রায় ৪ শতাংশ, আর নারীর ক্ষেত্রে এটি ১ শতাংশের বেশি।
বিপত্নীক হিসেবে ১ শতাংশের কিছু বেশি পুরুষ একা জীবনযাপন করছেন। অন্যদিকে নারীদের বিধবা হিসেবে জীবনযাপনের হার প্রায় ৯ শতাংশ।
পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, দেশে পুরুষদের প্রথম বিয়ের গড় বয়স ২৪ দশমিক ২ বছর। আর নারীদের ১৮ দশমিক ৪ বছর।
প্রতি হাজার জনসংখ্যায় অভ্যন্তরীণ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে পল্লীতে আগমনের হার ২০ দশমিক ৪ শতাংশ এবং শহরে আগমনের হার ৪৩ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে মৃত্যুহারে এগিয়ে পুরুষ। ২০২৩ সালে প্রতি হাজারে পুরুষের মৃত্যুর হার ৬ দশমিক ১ শতাংশ। আর সেখানে নারীর মৃত্যুর হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরো উঠে এসেছে, দেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব এক হাজার ১৭১ জন।
এ ছাড়া প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল জন্মহার ১৯ দশমিক ৪, যা ২০২২ সালে ছিল ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ।