জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অর্থ আইনে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করেছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উপহার বা দান হিসেবে যেকোনো পরিমাণ সম্পদ গ্রহণ করলে নিয়মিত হারে আয়কর- ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
এর ফলে স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা ও সন্তান ছাড়া দানকারী এবং দানগ্রহীতা উভয়কেই কর দিতে হবে। এমনকি অবৈধ উপার্জন ঠেকাতে দানকারীর ট্যাক্স ফাইলেও ঐ অর্থের উৎস সোর্স উল্লেখ করতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, এতদিন অবৈধ আয়কে বৈধ করার যে সুযোগ ছিল, সেটি বন্ধ করার পাশাপাশি কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ দানের মাধ্যমে বৈধ করে নেয়ার একটি পথ ছিল। নতুন আইনে যিনি দান করবেন এবং যিনি দান গ্রহণ করবেন, উভয়ের ট্যাক্স ফাইলে ঐ আয়ের উৎস উল্লেখ থাকতে হবে, এ বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়েছে।
দানকর আইনের ২(৬) ধারা অনুযায়ী, ‘দান’ বলতে এক ব্যক্তি কর্তৃক অন্য কোনো ব্যক্তিকে স্বেচ্ছায় অর্থ বা অর্থমূল্যের প্রতিলাভ ছাড়া কোনো স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বোঝাবে।
নতুন বাজেটে আনা প্রস্তাব অনুযায়ী, আয়করের সর্বোচ্চ হার ৩০ শতাংশ। ফলে বড় অংকের দান বা অনুদান করা হলে উভয় পক্ষের ওপর স্বাভাবিকভাবেই করের হারও বেশি হবে।