বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে “গাছ লাগিয়ে বেশি বেশি, পরিবেশটাকে সুস্থ রাখি” স্লোগানকে সামনে রেখে ফুলকুঁড়ি আসর খুলনা মহানগরীর আয়োজনে জুন, জুলাই ও আগস্ট- ৩মাস ব্যাপী বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন হয়েছে।
আজ ৫ জুন (বুধবার) নগরীতে শতাধিক গাছ রোপন ও শিশুদের মাঝে বিতরণের মাধ্যমে কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়েছে।
ফুলকুঁড়ি আসরের কেন্দ্রীয় কর্মিপরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরী শাখা পরিচালক ইমরান জাবিরের উপস্থিতিতে ও শাখা সহকারী পরিচালক আরিফুল ইসলামের ব্যবস্থাপনায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী মুনতাসির মামুন, ফুলকুঁড়ি আসরের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় কর্মিপরিষদ সদস্য ও প্রাক্তন শাখা পরিচালক অহিদুজ্জামান অহিদ, জমি জমা ডট কম এর নির্বাহী পরিচালক ইয়াসিন হোসেন ইমন ও শাখা সংগঠকবৃন্দ।
উপস্থিত অতিথিবৃন্দ পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা এবং এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন। শাখা পরিচালক ইমরান জাবির বলেন, গাছ আমাদের পরম বন্ধু। প্রতিবছর একটি গাছ গড়ে প্রায় ১৩ কেজি কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহন করে যা পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে বড় ভূমিকা রাখে। অপরদিকে একটি দেশের মোট ভুমির ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা উচিত যেখানে বাংলাদেশে বর্তমানে বনভূমির পরিমান মাত্র ১৫.৫৮ ভাগ। তাই, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পরিবেশ রক্ষায় সচেতন করে গড়ে তোলার জন্যই শিশুদের নিয়ে ফুলকুঁড়ি আসরের এই আয়োজন।
প্রধান অতিথি প্রকৌশলী মুনতাসির মামুন বলেন “বর্তমান বিশ্বে পরিবেশ দূষণ, বন উজাড় এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন আমাদের এক ক্লান্তিকালে এনে দাঁড় করিয়েছে। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে আমাদেরকে প্রকৃতির দিকে ফিরে তাকাতে হবে এবং প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা করতে হবে। বৃক্ষরোপণ হল সেই পথ যা আমাদের পরিবেশকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করবে।”
বিশেষ অতিথি অহিদুজ্জামান বলেন “বর্তমানে প্রকৃতি আমাদের উপর যে নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছে তার জন্য মূলত আমরাই দায়ী এবং আমরাই পারি পরিবেশকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে। আমাদের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রকৃতির প্রতি দায়বদ্ধতা স্মরণ করিয়ে দেওয়া”।
ইয়াসিন হোসেন ইমন বলেন, “আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক আমরা প্রতিটি বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে আমাদের পৃথিবীকে আরো সবুজ এবং সুস্থ করে তুলব। বৃক্ষরোপণ একটি ছোট পদক্ষেপ হতে পারে কিন্তু এর প্রভাব বিশাল ও দীর্ঘস্থায়ী।”
অন্যান্যরা পরিবেশ রক্ষায় আমাদের শিশুদের করণীয় শীর্ষক বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, বৃক্ষ বিতরণ ও বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে কর্মসূচী সমাপ্ত হয়।