বিশালদেহী একটি গরুর পা থেকে মাথা পর্যন্ত গায়ের রং কুচকুচে কালো। গরুটির মালিক শখ করে তার নাম রেখেছেন ‘কালামানিক’। পাঁচ বছর বয়সী ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টি লম্বায় ১০ ফুট, উচ্চতায় ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, ওজন ১৩শ’ কেজি।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। ষাঁড়টি কিনলে ফ্রিতে মিলবে ‘কাঞ্চন’ নামে একটি খাসি।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের নান্দিনা মধু গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আজম তালুকদারের খামারে বেড়ে উঠেছে ষাঁড়টি।
স্থানীয়রা জানান, শখের বসে নিজ বাড়িতে গরুর খামার করেছেন ড. আলী আজম। তার খামারে বর্তমানে মোট নয়টি বিশাল আকৃতির ষাঁড় লালন-পালন করা হচ্ছে। কালামানিক ছাড়াও ৮০০ কেজি ওজনের শাহীওয়াল জাতের আকাইসুর ও ৭০০ কেজি ওজনের আরও সাতটি ষাঁড় রয়েছে। আসন্ন ঈদ উল আজহা উপলক্ষে কালামানিক, আকাইসুরসহ মোট ৮টি ষাঁড় বিক্রির জন্য কোরবানির পশুর হাটে তুলবেন তিনি। বিশালাকৃতির ষাঁড়টিকে দেখার জন্য প্রতিদিন লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. আলী আজম তালুকদার বলেন, ‘এ ষাঁড়টিকে বিক্রির জন্য দাম চাওয়া হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। ব্যবসার জন্য খামার করা হয়নি। যদি কেউ কিনতে চান তাহলে অবশ্যই আলোচনার মাধ্যমে দাম কমানো যাবে। গরুটি কিনলে ফ্রিতে মিলবে ২২ থেকে ২৫ কেজি ওজনের একটি খাসি। শখের বসে ২০১৫ সালে এ খামারটি তৈরি করেছি। এখানে কোনো ওষুধ ছাড়াই আমার নিজস্ব গবেষণা প্রক্রিয়ায় দানাদার খাদ্যগুলো পাউডার ফর্মে এনে এরপর ব্যাকটেরিয়া দিয়ে গাঁজানো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৬ থেকে ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখি। পরে ষাঁড়গুলোকে খেতে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে দেওয়া হয় কাঁচা ঘাস এবং সাইলেস। আমার চিন্তা সাশ্রয়ী মূল্যে গবাদিপশুকে খাদ্য দেওয়া।’
এ দিকে কামারখন্দ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় কালামানিক। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে মালিক ষাঁড়টি বড় করেছেন। আশা করছি, কোরবানির প্রাণীর হাটে ষাঁড়ের মালিক ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন।’