চার বছর বয়সে মা ইমনকে রেখে বাবার বাড়ি চলে গেলে বাবা সাইফুল ইসলাম সজীব আরেকটি বিয়ে করেন। প্রথম কয়েক বছর দাদি-চাচির লালন-পালন ও শাসনে বড় হতে থাকলেও পরে সৎমায়ের দেখভালেই ইমন পড়ালেখা ও বেড়ে ওঠে। ইমনদের জমি তেমন না থাকায় সংসার চালানোর জন্য তার বাবা ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
ইমন বলে, পৃথিবীতে সৎমা বলে একটা শব্দ আছে, কিন্তু আমি তা কখনো বিশ্বাস করি না। কারণ আমার এ মায়ের আরও দুই ছেলে আছে, সেহেতু আমরা তিন ভাই। আমরা যে একে অপরে সৎভাই ও আমি সৎ ছেলে মা কখনো এমনটি বুঝতে দেননি বা আপন-পর ভাবেননি।
সে আরও বলে, সৎমার কল্যাণেই আমি গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছি। ভালো কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য মা আমাকে সুপরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার শাহজাদপুর গ্রামে ইমনের জন্ম। সে উচাই জেরকা সিং আদিবাসী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২৩৮ নম্বর পেয়েছে। ইমন পড়ালেখা শেষ করে প্রথমে একজন ভালো মানুষ হতে চায়।
বাবার বিষয়ে ইমন বলে, ঢাকায় বাবা অল্প বেতনের চাকরি করেন। আমার এমন খুশির দিনেও তিনি চাকরি হারানোর ভয়ে আসতে পারেননি। বাবা-মায়ের সংসারের অভাবের বোঝা বহন করতে আমি প্রকৌশলী হতে চাই।