চুয়াডাঙ্গায় দেনমোহর নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিয়ের আসরেই স্ত্রীকে তালাক দিতে চাওয়ায় গ্রামবাসীর কাছে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন এক প্রবাসী বর। পরে ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বরপক্ষকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে শোলগাড়ি গ্রামের কনের বাড়িতে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক রাজীব।
তবে এ ঘটনায় ছেলে ও মেয়ে পক্ষের কেউই কথা বলতে রাজি হননি।
জানা যায়, দেনমোহরের অর্থ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে দর-কষাকষি নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের শোলগাড়ি গ্রামে বিয়ে করতে গিয়ে এমন বিপাকে পড়েন পার্শ্ববর্তী আলমডাঙ্গা উপজেলার হাড়গাড়ি গ্রামের প্রবাসী রফিকুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাড়গাড়ী গ্রামের আশরাফুল মালিথার ছেলে প্রবাসী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের শোলগাড়ী গ্রামের এক নারীর বিয়ে হয়। প্রবাসী বর দেশে ফিরে আসার পর শুক্রবার বিয়ের আনুষ্ঠানিক আয়োজন চলছিল। কথা ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেনমোহরের বিনিময়ে সম্পন্ন হবে কাবিন। কিন্তু এতে বাধ সাধে বরপক্ষের লোকজন। তাদের দাবি, ৫ হাজার টাকায় হবে দেনমোহর। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে চলে দর-কষাকষি ও কথা-কাটাকাটি।
একপর্যায়ে বর রফিকুল বলে বলেন, ‘দরকার হলে দেড় লাখ টাকা দিয়েই কাবিন করব, কিন্তু আজই টাকা পরিশোধ করে বউ তালাক দিয়ে যাবো।’ এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কনেপক্ষের লোকজন। একপর্যায়ে গণপিটুনির শিকার হন বর রফিকুল ইসলাম।
পুলিশের উপপরিদর্শক রাজীব বলেন, ‘খবর পেয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে বর ও তার স্বজনদের থানায় নেওয়া হয়। পরে রাতে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তারা নিজেরাই মীমাংসা করে নিয়েছেন।’