ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সঙ্গে দেখা করেছেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া। বুধবার (২২ মে) প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির জানাজা শেষে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার কার্যালয়ে আয়োজিত হয় এই বৈঠক। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির অন্য নেতারাও। নিহত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির জানাজায় অংশ নিতে হামাসের প্রতিনিধি হিসেবে তেহরানে এসেছেন তারা।
বৈঠকে আয়াতুল্লাহ খামেনি হামাসপ্রধানকে বলেন, জাওনিস্টদের ধ্বংস করার বেহেশতি অঙ্গীকার একদিন পূরণ হবে এবং আমরা সেই দিনটি দেখব, যেদিন নদী থেকে সমুদ্র পর্যন্ত জেগে উঠবে ফিলিস্তিন।
জবাবে হামাস প্রধান বলেন, ইনশাআল্লাহ আমরা একসঙ্গেই সেই দিনটি দেখব। হামাসপ্রধান ইরানের সদ্যপ্রয়াত প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন এবং ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে সান্ত্বনা জানান।
তারা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলার নিয়ে কথা বলেন। এ সময় খামেনি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলন নিয়েও মন্তব্য করেন।
খামেনি বলেন, কে জানত যে একদিন মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দেওয়া হবে এবং সেখানে ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়ানো হবে?
দিনি আরও বলেন, কে জানত একদিন জাপানের রাস্তায় ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দেওয়া হবে! স্লোগান উঠবে “ইসরায়েলকে ধ্বংস কর”।
বৈঠকের আগে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর উপনেতা নাঈম কাশেম ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিরা প্রয়াত প্রেসিডেন্টের জানাজায় অংশ নেন।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে হামাসপ্রধান বলেন, আমি ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষ নিয়ে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরোধিতাকারীদের প্রতিনিধি হিসেবে শোক প্রকাশের জন্য এখানে উপস্থিত হয়েছি। আমি নিশ্চিত ইরান ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।