ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড সায়েন্স, এনভারনমেন্ট এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিযোগিতায় (ডব্লিউএসইইসি) বাংলাদেশের নারীরা স্বর্ণপদক জিতেছেন। ১৯ মে, এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
দলটির সদস্যরা হলেন- জান্নাতুল ফেরদৌস ফাবিন (টিম লিডার), নুসরাত জাহান সিনহা (টিম ম্যানেজমেন্ট), নুসরাত জাহান নওরিন (হার্ডওয়্যার), সানিয়া ইসলাম সারা (সফটওয়্যার) ও তাহিয়া রহমান (প্রজেক্ট ম্যানেজার)।
তাদের দলের নাম কোড ব্ল্যাক। কোড ব্ল্যাক ২০২১ সালে যাত্রা শুরু করে। এর পর থেকেই তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রোবোটিকস প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন। রাজধানীর রামপুরার বনশ্রীতে তাঁদের রোবোটিকস গবেষণা ল্যাব।
কোড ব্ল্যাক দলটি মূলত কৃষিকাজে সহায়তার জন্য প্রযুক্তি পণ্য তৈরির কাজ করছে। ইন্দোনেশিয়ায় যে প্রকল্পের জন্য কোড ব্ল্যাক স্বর্ণপদক জিতেছে, সেটি একটি রোবট। যেটির নাম প্রহরী, যা দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন (এআই)। এটি অত্যাধুনিক ইমেজ প্রসেসিং, বাস্তব সময়ে ভিজ্যুয়াল ডেটা বিশ্লেষণ, বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ এবং বিপজ্জনক অবস্থার মূল্যায়ন করতে পারে। এছাড়াও রোবটটি অনায়াসে বৈরী পরিবেশে চলাচল করতে পারে। জসিমউদ্দিনের ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ বই থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে রোবটটি তৈরি করা হয়েছে।
ডব্লিউএসইইসিতে বিশেষত গণিত, শক্তি এবং প্রকৌশল, পদার্থবিদ্যা, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগে প্রতিযোগিতা হয়।
টিম কোড ব্ল্যাকের টিম ম্যানেজমেন্ট ও প্রতিযোগী দলের সদস্য নুসরাত জাহান সিনহা বলেন, ‘বাংলাদেশের সমাজে প্রচলিত আছে যে নারীরা স্টেম সাবজেক্টগুলোতে (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) খুব একটা ভালো করতে পারে না। কিন্তু আমরা এই ধারণা ভেঙে দিতে চাই। কোড ব্ল্যাক স্টেম সাবজেক্টগুলো নিয়ে কাজ করতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘রোবোটিকসে নারীদের সম্পৃক্ত করা টিম কোড ব্ল্যাকের একটি লক্ষ। রোবোটিকসেও মেয়েরা কাজ করতে পারে-এটি আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এই স্বর্ণপদক আমাদের সেই বিষয়ে একটি স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা রোবোটিকসকে বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা চাই রোবটিকস বাংলাদেশে একটি প্রতিষ্ঠিত সাবজেক্ট হোক। এই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’