The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪

এভারেস্টের পর এবার প্রথম বাংলাদেশি হয়ে লোৎসে জয় করলেন বাবর

এভারেস্ট জয়ের পর এবার বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ লোৎসে জয় করলেন বাংলাদেশি পর্বাতারোহী বাবর আলী। এটিই বাংলাদেশের কোনো পর্বাতারোহীর প্রথম লোৎসে সামিট এবং প্রথম একই অভিযানে দুটি আটহাজারি শৃঙ্গ সামিট।

মঙ্গলবার (২১ মে) নেপালের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৬টা ৫ মিনিট) বাবর আলী লোৎসে জয় করেন। তিন দিন ধরে রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষার পর এ শৃঙ্গ জয় করেছেন তিনি।

বাবরের সংগঠন “ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স” সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, “বাংলাদেশের পর্বতারোহণের ইতিহাসে আজ লিখিত হলো অভূতপূর্ব ও রোমাঞ্চকর এক অধ্যায়। আর লেখক আমাদের স্বপ্ন সারথি-বাবর আলী। এটিই এই বাংলাদেশের কোনো সন্তানের প্রথম লোৎসে সামিট এবং প্রথম একই অভিযানে দুইটি আট হাজারি শৃঙ্গ সামিট। বাবর এখন নেমে আসা শুরু করেছেন। বেসক্যাম্পে পৌঁছালেই হবে মূল উৎসব।”

এর আগে, রবিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন বাবর আলী। বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান। বাবর আলীর এই অভিযানে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস, ভিজুয়াল নিটওয়্যারসসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।

অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামানের দেওয়া তথ্যমতে, এর আগে কোনো বাংলাদেশি লোৎসে পর্বতশৃঙ্গে সামিট করেননি। আবার একই অভিযানে দুটি আট হাজারী শৃঙ্গে চড়েননি।

গত এক দশকে হিমালয়ের নানা পর্বত জয় করেছেন পেশায় চিকিৎসক বাবর আলী। এর মধ্যে ২০২২ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম দুর্গম চূড়া আমা দাবলাম (২২ হাজার ৩৪৯ ফুট) আরোহণ করেন বাবর।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৫১তম ব্যাচের ছাত্র হিসেবে বাবর মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) সম্পন্ন করেন। চিকিৎসা পেশায় কাজও শুরু করেছিলেন বাবর আলী। তবে রক্তে যে তার দেশ-বিদেশে ঘোরার নেশা। এক অভিযানের সময় কর্মস্থল থেকে ছুটি না মেলায় ছেড়ে দেন চাকরি। এরপর থেকে তার পুরোটা মনোযোগ ভ্রমণে।

পেশাগত জীবনে আইসিডিডিআরবির উদীয়মান সংক্রামক রোগ বিভাগে এবং জাতিসংঘের আন্তজার্তিক অভিবাসন সংস্থায় মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.