অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের উদ্যোগ ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর কারিগরি সহায়তায় কক্সবাজারে কর্মরত বিদেশি সহায়তা গ্রহণকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য এনজিও খাতে অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪ মে, শনিবার কক্সবাজারের একটি হোটেলে দিনব্যাপী ‘এনজিওখাতে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঝুঁকি প্রতিরোধ’ শীর্ষক কর্মশালার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিষ দামলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউ এর প্রধান কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ বিশ্বাস।
এসময় প্রধান অতিথি মোঃ মাসুদ বিশ্বাস বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অসহায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষকে অর্থের প্রলোভনে খুব সহজেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ করে থাকে। তাই যেসব এনজিও প্রতিষ্ঠান প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষদের নিয়ে কাজ করেন তাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরী। কক্সবাজার দেশের গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা, যা মাদক চোরাচালানের অন্যতম রুট হিসেবে পরিচিতি। এছাড়াও, এ অঞ্চলের সাথে মায়ানমারের সীমান্ত থাকায় এবং এ অঞ্চলে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত বেশ স্পর্শকাতর ও সংবেদনশীল। তাই এ অঞ্চলে কর্মরত এনজিওসমূহের কর্মীবাহিনী ও প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোকে কোনো অপশক্তি যাতে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করতে পারে সে বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। যে সকল বিদেশি দাতাসংস্থা হতে অনুদান/ত্রাণ/সহায়তা প্রেরণ করা হচ্ছে, তাদের পরিচিতি সম্পর্কে নিশ্চিত থাকতে হবে এবং এক্ষেত্রে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হতে সহায়তা গ্রহণের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিষ দামলে জানান, এই কর্মশালা হতে অর্জিত জ্ঞান মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের কাঠামো উন্নয়নে কাজে লাগবে। কোনো এনজিও যেন মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত না হতে পারে, সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান তিনি।
দিন ব্যাপী আয়োজিত এই কর্মশালায় এনজিও সেক্টরেরর মাধ্যমে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক ছয়টি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এসব সেশনের মধ্যে ছিল মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাস অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশের আইন, এনজিওর করণীয়, এনজিও এ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর ভূমিকা ইত্যাদি। বিএফআইইউ, এনজিও এ্যাফেয়ার্স ব্যুরো এবং অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা এই সেশনগুলোর নেতৃত্ব দেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে প্রায় ২০টি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।