নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে বর্জ্য পোড়ানোর উদ্দেশ্যে আগুন দেয়া হলে সে আগুনে পুড়েছে দেবদারু, মেহগনি ও লেবুসহ প্রায় ৩০টি গাছের বিভিন্ন অংশ। পরে গাছগুলোর পুড়ে যাও অংশ কেটে ফেলা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে হলের পরিচ্ছন্নকর্মী সত্য রায়ের দেয়া আগুনে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি জানতো না হল কর্তৃপক্ষ।
পরবর্তীতে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে গাছগুলোর গোঁড়াতে পানি দেন এবং ঘটে যাওয়া ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর প্রতিটি গাছের গোঁড়ায় পানি দিতে বলেছি। টানা ৩দিন গাছের গোঁড়ায় পানি দেওয়ার পর যদি গাছগুলোকে বাঁচানো সম্ভব না হয় তাহলে একই জায়গায় নতুন করে গাছ লাগানো হবে।’
এ বিষয়ে হলের পরিচ্ছন্ন কর্মী সত্য রায় বলেন, ‘আমি বর্জ্য পুড়ানোর জন্য পুকুরের ধারে আগুন দিয়ে সেখান থেকে চলে আসি। পরে বাতাসের প্রভাবে সে আগুন ছড়িয়ে যায়। অসাবধানতাবশতঃ এমনটি হয়ে গেছে। আমার ভুল হয়েছে।
তবে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এমনটি ঘটেছে বলে অভিযোগ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের। তারা বলেন, গাছগুলো হলের পরিবেশের ইতিবাচক প্রভাবে সহায়ক ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অতীব গুরুত্বপূর্ণ। গাছগুলো পুড়ে যাওয়ায় হলের পরিবেশে বিঘ্ন ঘটবে।
এ বিষয়ে জিওগ্রাফি এণ্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিপুল রায় বলেন, ‘আগুনে সবুজ গাছ পুড়ে গেলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। পাতা-বাকল পুড়ে গেলে তা আর খাদ্য তৈরি করতে পারে না। পরবর্তীতে বাস্তুতন্ত্রের (ইকোসিস্টেম) বিকাশে বাধাগ্রস্থ হয়, যা দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি বয়ে আনে। তাই বর্জ্যের মান ভেদে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা উচিত।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার আনুমানিক দুপুরে হল পুকুর পারে জমে থাকা বর্জ্যে আগুন দেন হলের পরিচ্ছন্ন কর্মী সত্য রায়। বর্জ্য পুড়ে পরবর্তীতে বাতাসের সাথে আগুন আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ওই এলাকার সৌন্দর্য্যবোর্ধক দেবদারুসহ, লেবু ও অন্যান্য গাছ মিলে প্রায় ২০টিরও অধিক গাছ পুড়ে যায়।