কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ জালিয়াতির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খান ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে পৌঁছেছেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে গাড়িতে করে পৌঁছান তিনি। ডিবি কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর আগে, এ ব্যাপারে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, হাজার হাজার সার্টিফিকেট বাণিজ্যের কারণে গ্রেপ্তার হন কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রী। এরপর চেয়ারম্যান পদ থেকে আলী আকবর খানকে ওএসডি করা হয়।
তিনি বলেন, আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে ডাকা হয়েছে। যদি সার্টিফিকেট বাণিজ্যে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে, ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথমে গ্রেপ্তার হন সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে একে একে উঠে আসে এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ড সংশ্লিষ্ট অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তা ও দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কজেলের প্রধান আর অধ্যক্ষদের নাম।
সবশেষ গত শনিবার (২০ এপ্রিল) সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পরদিন রোববার (২১ এপ্রিল) চেয়ারম্যানকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ডিবি সূত্র বলছে, শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে শেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে। এছাড়া, গত ৪ এপ্রিল এক সংবাদ সন্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বলেন, সনদ বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়ায় তার কাছে গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপালরা।
যেসব প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল মধ্যস্থতা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাদের নামের দীর্ঘ তালিকা এসেছে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। এছাড়া, নাম আসছে বেশকিছু দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও।