The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪

নোয়াখালীতে মেলা নিয়ে বিরোধ: ছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সেনবাগে মেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে এক মাদরাসা ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একই এলাকার পিয়াস (২৩) সহ দুই গ্রুপের আরও অন্তত ৬জন আহত হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের সেবারহাট বাজারের সাইন্স ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মাজহারুল ইসলাম শাওন (২০) উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রাজারামপুর গ্রামের জমাদার বাড়ির আবুধাবি প্রবাসী কচি মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় উত্তর রাজারামপুর বশিরিয়া আলিম মাদরাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একই গ্রুপের লোকজন শাওনকে হত্যা করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল উপজেলার সেবারহাট বাজারের শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একদিনের জন্য বৈশাখী মেলার আয়োজন করে বাজারের ইজারাদার মাহফুজ, জোবায়ের ও সাইদুল হক মেম্বার। এজন্য গত কয়েক দিন ধরে এলাকায় চালানানো হয় মাইকিং। এর মধ্যে বুধবার বিকেলে মেলায় চলে আসে ১৫-২০টি দোকান। একই দিন রাত ৮টার দিকে মেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের জসিম কন্ট্রাক্টরের ছেলে হৃদয়ের সাথে নিহত শাওন গ্রুপের বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে রাত ৮টার দিকে সেবারহাট বাজারের সাইন্স ক্লাবের সামনে হৃদয়ের নেতৃত্বে শাওনের বুকে, পেটে ছুরিকাঘাত করা হয় এবং একই সময়ে পিয়াস নামে আরও এক তরুণকে গুরুত্বর আহত করা হয়। পরে তাদের গুরুত্বর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফেনীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন। পিয়াসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো.নাজমুল হাসান রাজীব বলেন, অনুমোদনহীন মেলা বসানো কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই অবৈধ মেলা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অবৈধ ভাবে মেলা বসানো ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িত কিছু আসামির নাম আমরা পেয়েছি। তবে তদন্ত শেষে পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.