নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) যৌন নিপীড়ন ও ভ্রুণ হত্যার দায়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপদক মাহমুদুর রহমান জনিকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনের নিকট চাকুরী থেকে বরখাস্তের আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করবেন বলে জানা গেছে।
২৮ মার্চ রাতে মাহমুদুর রহমান জনির সাথে আলাপকালে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে আইনানুগ কোন অভিযোগ না এনেই আমাকে শিক্ষক থেকে বহিষ্কার করা হয় যেটা সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। এগুলোর বিরুদ্ধে আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণাদি রয়েছে কিন্তু সেগুলো কোন আমলে না নিয়ে আমার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালের অ্যাক্টের ৫১ ধারা অনুযায়ী আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে চিঠি দিয়েছি কিন্তু এখনো আমি সে চিঠির কোন উত্তর পাইনি। তিনি কি রাষ্ট্রপতি বা উচ্চ আদালতের দারস্থ হবেন কিনা এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর এগুলো নিয়ে আমি উচ্চ আদালতের দারস্থ হবো।
প্রসঙ্গত, মাহমুদুর রহমানের জনির বিরুদ্ধে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ গড়ে তোলার অভিযোগ ওঠে। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। ওই ঘটনায় ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর জনির বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। শিক্ষক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় গঠিত এই স্ট্রাকচার্ড কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর দীর্ঘ আলোচনা শেষে তাকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার(২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।