The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বুধবার, ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪

নোবিপ্রবিতে ৩য় বারের মতো ‘গবেষণায় হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠিত

নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) সায়েন্স ক্লাবের আয়োজনে নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘গবেষণায় হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার ( ২৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে সকাল ১১.০০ টায় প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগে প্রধান ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সায়েন্স ক্লাবের উপদেষ্টা ও ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপদেষ্টা এবং বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মফিজুল ইসলাম।

উক্ত অনুষ্ঠানে কি-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, অন্যান্য স্পিকারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক আব্দুল বারেক এবং বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক আব্দুল কাদের।

কি-নোট স্পিকারের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান গবেষণা এবং গবেষণার প্রকারভেদ, কখন কিভাবে গবেষণা শুরু করবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞান অনুমান নির্ভর তথ্যের বদলে সবসময় নির্ভরযোগ্য তথ্যে বিশ্বাসী। গবেষণা চিন্তার বিকাশ ঘটাতে সহযোগিতা করে। গবেষণা অজানা জিনিসকে জানতে সাহায্য করে তবে মানবতার বৃহত্তর কল্যানে তার ফলাফল বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ করতে হয়। সব গবেষণার ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব থাকে এমনকি বিজ্ঞানেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেই সীমাবদ্ধতাকে কাটিয়ে উঠতে হবে গবেষণার মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, গবেষণার জন্য আগ্রহ, সুযোগ সুবিধা ও অর্থ ৩ টি জিনিসের সমন্বয় দরকার। কোনো একটি ফিল্ডে গবেষণা করতে হলে সেই ফিল্ড সংশ্লিষ্ট পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখতে হবে।
এ ছাড়াও তিনি প্রাথমিক গবেষণা ও ব্যবহারিক গবেষণার বিভিন্ন দিক, গবেষণায় চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

সায়েন্স ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, তরুণরাই একটি জাতির মূল সম্পদ। এদের মধ্যে থাকে তীব্র অনুসন্ধিৎসা ও অদম্য কর্মস্পৃহা, কিছু একটা করার জন্য সদা অস্থিরতা। শৈশব পেরিয়ে যখন কৈশোরে পৌঁছে, তারুণ্যে পদার্পণ করে, চারিদিকে অনেক কিছুই তাদের হাতছানি দেয়, কাছে টেনে নিতে চায়। পরিবার ও শ্রেণীকক্ষের বাইরেও বিশাল এক জগতের সঙ্গে তাদের নিরন্তর মিথস্ক্রিয়া ঘটে। এখানে তাদের যেমন নিত্য-নতুন অনেক কিছু শেখার সুযোগ হয়।

তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় কিশোর-তরুণদের এই মনোদৈহিক চাহিদার যোগানে এবং বিপথগামী হওয়া থেকে সুরক্ষা দানে প্রয়োজন তাদের বিভিন্ন রকম সৃষ্টিশীল ও গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যাপৃত করা। এতে করে তারা তাদের সমবয়সীদের পাশাপাশি সিনিয়র-জুনিয়রদের সঙ্গে মেশার সুযোগ পায়, সামষ্টিক পরিসরে কাজ করার মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে ভবিষ্যতে কাজ করার উপযোগী দক্ষতা ও নেতৃত্ব গুণের বিকাশ ঘটে। আমি আশা করি নোবিপ্রবি সায়েন্স ক্লাব নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের এসব গুণের বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবে। তার ফলাফল দেখা যায় বিভিন্ন জাতীয় বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায়।

সায়েন্স ক্লাবের উপদেষ্টা ও মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের প্রধান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, মানব সভ্যতা আজ যে পর্যায়ে উপনীত হয়েছে, তাতে মূল ভূমিকা রেখেছে বিগত কয়েক শতকে বিজ্ঞানের বিস্ময়কর সব আবিষ্কার। বিজ্ঞানের কল্যাণে কৃষি ও শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। শত-সহস্র বছর ধরে মানুষ যে সব রোগ-ব্যাধির কাছে অসহায় ছিল, তার অনেকগুলোই আজ মানুষের নিয়ন্ত্রণে।

বিজ্ঞানের এ যুগে একটি জাতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যেতে না পারলে তার ভাগ্যাকাশে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা সুদূর পরাহত। এর জন্য প্রয়োজন আমাদের এটিচ্যুডে পরিবর্তন, প্রয়োজন এমন একটি প্রজন্ম গড়ে তোলা যারা হবে বিজ্ঞান চর্চায় নিবেদিত, আত্মোৎসর্গীকৃত।

গবেষণায় শিক্ষার্থীদের উদ্ভুদ্ধ করার লক্ষ্যে এবং গবেষণা নিয়ে বিস্তারিত ধারণা দিতে গবেষণায় হাতেখড়ি প্রোগ্রামটি Basic introduction to research, Scientific research idea presentation, Scientific poster presentation, basic introduction to referencing, The art of scientific communication: effective writing and powerful presentation এ কয়েকটি সেকশনে ভাগ করা হয়। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে Green campus initiative idea presentation এর আয়োজন করা হয়।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.