সাকিবুল ইসলাম, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, প্রক্টরের কাছে অবন্তীর দেয়া অভিযোগটি কে কে অবহেলা করেছে সেটার তদন্ত হবে। আশা করি তদন্ত কমিটি এটা বের করে আনবে। কেন অবন্তীর ওই চিঠি অবহেলা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি ভীষণভাবে দগ্ধ। আমি মাফ চাই আমার শিক্ষার্থীদের কাছে। আর কারও কাছে চাই না।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের আয়েজনে অবন্তিকার স্মরণে শোকসভায় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সাত কার্যদিবসের মধ্যে দেয়ার চেষ্টা করবে, তবে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট যাতে সুষ্ঠু হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।
গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে উপাচার্য বলেন, আসলে আমার বলার কোনো ভাষা নেই। আমি অনুরোধ করবো অবন্তিকে কোনোভাবে যাতে মেন্টাল ডিসঅর্ডার দিয়ে বিবেচনা না করা হয়। দেশে নারীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় শুধু সমাজের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে আমিও তো বুলির শিকার হয়েছি। তবে আমি বুলি নিতে পারি কারন ৩০ বছর ধরে সহ্য করে আসছি।
উপাচার্য সাদেকা হালিম এসময় আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রকল্যাণ প্রতিনিধির সংখ্যা বাড়াবো, শুধু একজন পুরুষ পরিচালক থাকবে না একজন নারীও থাকবে।
দ্রুত প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, সাময়িক বহিষ্কার না করলে এত দ্রুত বিচার করা যায় না। আমাদের যে তদন্ত কমিটি তা বিশ্ববিদ্যালয় আইন দ্বারা পরিচালিত হবে। একটি তদন্ত দ্রুত করা যায় না। আইন বিভাগের অনেক শিক্ষার্থীকেই তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে হবে। আগের প্রক্টর টিমকেও আনা হবে, বস্তুনিষ্ঠ কাজ করতে হবে তদন্ত কমিটির। তবে অবন্তিকার এ বিষয়ে কাওকে রাজনৈতিক খেলা খেলতে দেয়া হবে না। আমাদের ওপর আস্থা রাখো।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যৌন নিপীড়ন বক্সের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ক্যাম্পাসের যৌন নিপীড়ন বক্স গুলো পরিষ্কার করে নতুন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বক্স গুলোর তালার চাবি আমার কাছে থাকবে। আমি নিজে বক্সগুলো খুলে চেক করবো প্রতিনিয়ত। আমি সবসময় মেয়েদের জন্য দাঁড়াবো।