The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪

ইবি উপ-উপাচার্যের নিয়োগ বাণিজ্যের চ্যাট ভাইরাল, থানায় জিডি

ইবি প্রতিনিধি: মালি নিয়োগ নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের হোয়াটস অ্যাপ নাম্বার সম্বলিত চ্যাটের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করা হয়েছে। যার পরই চ্যাটটি ভাইরাল হয়। এ নিয়ে গত সোমবার ইবি থানায় উপ-উপাচার্যের পক্ষে তার একান্ত সচিব সোহেল রানা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন, যার নম্বর ৪৪৪। বুধবার ১৩ মার্চ ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন রহমান তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

জিডিতে বলা হয়, গত ১০ মার্চ রাত ১১ টায় ‘ইবি ভাইরাল নিউজ’ নামক অজ্ঞাতনামা ফেসবুক আইডি থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপ-উপাচার্যকে জড়িয়ে একটি মিথ্যা স্ট্যাটাস দেয়। যেখানে লেখা ছিল, ‘মালী নিয়োগ নিয়ে প্রো ভিসি খাম্বা মাহবুবুর রহমানের সাথে তার ঘনিষ্ট চন্দনের কথোপকথন ফাস। রশিদের চাকুরি শিওর করেছেন প্রো-ভিসি খাম্বা মাহবুব’। এ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখতে পেয়ে অজ্ঞাতনামা ফেসবুক আইডির সম্পর্কে এবং এরূপ মিথ্যা স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় উপরোক্ত বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য সাধারণ ডাইরিভুক্ত করা একান্ত প্রয়োজন।

জানা যায়, গত রোববার রাতে মালি নিয়োগ নিয়ে উপ-উপাচার্যের অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের তিনটি স্ক্রিনশট ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। স্ক্রিনশটগুলোতে উপ-উপাচার্য নিয়োগপ্রার্থী রশিদকে নিয়োগ দিতে চন্দন নামের একজনের সাথে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে কথা বলতে দেখা যায়। কথোপকথনগুলো ছিলো এমন:

চন্দন: স্যার, অ্যানি আপডেট?

উপ-উপাচার্য: চন্দন, আই উইল, ইনফর্ম ইউ লেটার।

চন্দন: ওকে স্যার, আই এম ওয়েটিং ইউর কনফার্মেশন। স্যার রশিদ আমার কাছে ৮ দিয়ে গেছে। প্লিজ একটু দেখেন স্যার।

উপ-উপাচার্য: আই উইল ট্রাই মাই বেস্ট। ডোন্ট ওরি।

চন্দন: এভরিথিং ওকে স্যার। আপনি শুধু কনফার্ম করেন।

উপ-উপাচার্য: রশিদ ডান। ডোন্ট ওরি। ভিসি প্রবলেম করতেছিলো। বাট এভরিথিং ওকে নাউ। রশিদকে বলো আর একটু বাড়াতে।

চন্দন: আমি কথা বলছি। আমি রশিদকে জানায় দিলাম স্যার।

উপ-উপাচার্য: ওকে দাও। বাড়ানো বিষয়টা খেয়াল রাখো।

চন্দন: আমি বলেছি স্যার। আফটার জয়েনিং ২ দিতে চেয়েছে।

এ নিয়ে প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার চন্দন কুমার দাস বলেন, স্ক্রিনশটটা আমি দেখেছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক। এ নিয়ে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছি। বাকিটা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, এ নিয়ে ইতোমধ্যে থানায় জিডি করা হয়েছে। আজকাল চ্যাট ইডিট করা খুবই ইজি। আর এখানে আমাকে ফাসানোর জন্য নাম্বার উল্লেখ করা হয়েছে। একজন কর্মকর্তার কাছে আমার নাম্বার থাকবেনা। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.