খুবি প্রতিনিধি : নাটক বা ড্রামা হলো আধুনিক ও গতিশীল শিল্প উপকরণ। তার অন্যতম কারণ নাটকে থাকে জীবনের অনুলিপি। জীবনসায়াহ্নে ঘটে যাওয়া প্রতিটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় নাটকের কাহিনি সমগ্র। সামাজিক অনাচার, অবিচার, শোষণ, বঞ্চনা ও কুসংস্কার নিয়ে তৈরি নাটক আমাদের সমাজকে সব সময়ই নাড়া দিয়েছে, পরিবর্তন এনেছে সমাজমননে। এজন্য বলা হয়ে থাকে, সমাজ বিনির্মাণের অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে নাটক। নাটকের মাধ্যমেই সমাজের সমসাময়িক কিংবা ঐতিহাসিক প্রতিটি ঘটনার বার্তা গণমানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।
সেই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছরের ন্যয় এ বছরও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বায়স্কোপ’ আয়োজন করেছে “রঙ্গমঞ্চে বায়স্কোপ নাট্য উৎসব-০২”। “ধারালো বিবেক আর শাণিত চোখে জীবন দেখি ও জীবন দেখায়।” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা আঙ্গিনায় নাটক মঞ্চায়ন হয়।
দুই বিঘা জমি ও জুতা আবিষ্কার অবলম্বনে নাটক “সাজঘর”। নাট্য ভাবনা ও নির্দেশনায় প্রফেসর ড. মো. তানভীর দুলাল। শিক্ষক বাংলা বিভাগ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
সমাজের খুঁটিনাটি অসংগতি তুলে ধরাই শিল্পীর দায়। সেই দায় থেকে আমরা কেউ মুক্ত নই আর-এ দায়বদ্ধতা থেকে “সাজঘর” নাটকটি মঞ্চায়ন করা হয়েছে।
“সত্য কথার ভাত নেই” এটি প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা একটি প্রচলিত প্রবাদ। তাই হয়তো প্রাচীনকাল থেকেই তোষামোদকারী লোকের অভাব হয় না। আর বর্তমানের সমাজব্যবস্থায় তোষামোদকারীর অভাব নেই। অন্যায়, অবিচারের প্রতিবাদ না করে এসব মেরুদণ্ডহীন মানুষেরা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। । কিন্তু “সাজঘর” নাটক চায় সেই একজন সাহসী ব্যক্তিকে যে কি-না অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে আর খুলে নিবে অত্যাচারীদের ভালো মানুষির মুখোশ।
বায়স্কোপের সভাপতি, শাহ মখদুম স্বরণের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্টানে সভাপতি হিসাবে ছিলেন বায়স্কোপের প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. তানভীর দুলাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাফিজ আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো রুবেল আনছার, সহকারী অধ্যাপক পুনম চক্রবর্তী, প্রভাষক হাসান মাহমুদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য অনুষ্ঠানে বায়স্কোপ প্রযোজনায় সাজঘর, বি.এল.কলেজ প্রযোজনায় চৌরাস্তা ও প্রতিনিধি সাংস্কৃতি সংস্থা প্রযোজনায় পাকে – বিপাকে নাটক প্রদর্শিত হয়।