বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বাধীনতার চেতনাকে উজ্জীবিত করতে প্রদর্শিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক তিনটি একক নাটক।
বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধা সাড়ে ৬টা থেকে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে ওই নাটকগুলো প্রদর্শনীর আয়োজন করে গ্রীন ভয়েস বাকৃবি শাখা। বাকৃবির পশুপালন অনুষদের পশুপুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলামের রচনা এবং অঞ্জন আইচ-এর পরিচালনায় যথাক্রমে ‘ ক্ষোভ ’, ‘ ভুলনা আমায় ’ ও ‘ রায়ট লতা ’ নাটক তিনটি পর পর প্রদর্শিত হয়। এর মধ্যে ‘রায়ট লতা’ নাটকটির রচনা ও পরিচালনা দুটোই করেছেন অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ।
প্রদর্শিত নাটকগুলোর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ভালবাসার গল্প ‘রায়ট লতা’ এবং ‘ভুলনা আমায়’। অন্যদিকে স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ ৪৫ বছর পরে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধোকে খুনের মামলায় মিথ্যা আসামী বানানোর গল্প হলো ‘ক্ষোভ’।
‘রায়ট লতা’ নাটকে একজন হিন্দু মুক্তিযোদ্ধার প্রতি একজন মুসলিম বীরাঙ্গনার প্রগাঢ় ভালবাসার গল্প ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ‘ভুলনা আমায়’ নাটকে দেখানো হয়েছে একজন সদ্য বিবাহিত মুক্তিযুদ্ধে বেড়িয়ে পড়েছেন দেশের তরে। তার পাশের গ্রামের আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা কালাম মাঝেমধ্যে চুপিসারে অসুস্থ মাকে দেখতে আসেন। সেই ফাঁকেই স্ত্রী মরিয়ম কালাম ভাইয়ের কাছে স্বামীর খোঁজ খবর নেয়। স্বামী ফিরে আসবে এই আকুল অপেক্ষায় স্ত্রী মরিয়ম অপেক্ষায় একটি রুমাল বুনছে যেখানে লেখা রয়েছে ‘ভুলনা আমায়’ অথচ মরিয়মের স্বামী ইতমধ্যে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব লাভ করেছে।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখা, নাট্যব্যক্তিত্ব মনোজ প্রামাণিক । এছাড়াও বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম রচিত বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচারিত অন্যান্য নাটকসমূহ হলো মানুষ এবং মানুষ, আমি কেউ না , বিপরীত স্রােতে যাত্রা , কেমন আছ, এবং শুন্যতা, লাভ ইউ বাবা এবং মাকে মনে পড়ে। এছাড়াও তাঁর রচিত বেশ কিছু মঞ্চ নাটকও রয়েছে।