The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪

নিটারে আয়োজিত হলো “স্পিনিং সাকসেস: জার্নি টু হাই রেঙ্কিং পজিশন

লাবিবা সালওয়া ইসলাম: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ইউনিট অধিভুক্ত সাভারের নয়ারহাটে অবস্থিত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার) এ গত ০৪ই মার্চ, ২০২৩ রোজ সোমবার নিটার ক্যারিয়ার ক্লাব কর্তৃক “স্পিনিং সাকসেস: জার্নি টু হাই রেঙ্কিং পজিশন” শিরোনামে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

নিটার কনফারেন্স রুমে সকাল ১০:৪৫ ঘটিকায় জনাব আলভি আল সৃজনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা শুরু করা হয়। স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো: খন্দকার খোরশেদ আলম, ডিরেক্টর, বিটিএমএ এন্ড চেয়ারম্যান, লিটল-স্টার স্পিনিং মিলস লিমিটেড। নিটারের পরিচালক জনাব মো: জোনায়েবুর রশীদ, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর মো: আবুল হাসান শিবলী, ইঞ্জিনিয়ার মো: মহসিন উল হক, নুসরাত জাহান রুমা, সোলায়মান মিঞা, তানজিনা রিফাত টুম্পা, প্রসেনজিৎ সেন, ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর মো: ফাতেহ আলী খান পান্নী, মো: আল আমিনসহ শ’খানেক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে আলোচনা সভাটি শুরু হয়। শুরুতেই নিটারের পরিচালক জনাব মো: জোনায়েবুর রশীদের স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি প্রবলেম আইডেন্টিফাই, এনালাইসিস এবং পসিবল সলিউশন নিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে কাজ করতে উৎসাহী করেন। বিশ্ববিদ্যালায় জীবনের শুরু থেকেই ক্যারিয়ার নির্বাচন, পরিকল্পনামাফিক পদক্ষেপ নিতে ও বলেন।

পরবর্তীতে মো: খন্দকার খোরশেদ আলম তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি সার্বজনীন স্পিনিং খাত নিয়ে আলোচনা করেন। বিলগেটসের সাথে তাঁর আলাপ হয়েছে বলেও জানান। তিনি বলেন, “আমাদের দেশে কটন থেকে ফেব্রিক ম্যানুফ্যাকচার করতে ২৭০০ লিটার পানি দরকার হয়, যা আমাদের পরিবেশে বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। যার দরুণ বর্তমানে ন্যাচারাল ফাইবার রেখে মেনমেইড ফাইবার, সিনথেটিক ফাইবারের ব্যবহার বেড়েছে। কারণ, ভিসকস, রেয়নের মতো ফাইবারগুলোতে ধুলো কম থাকে ও পরিষ্কারকরণে পানি কম দরকার হয়।” তিনি আরো বলেন, ” আপনাদের পানি অপচয় কমানোর জন্য উদ্যোগ নিতে হবে, দেশকে রক্ষা করতে হবে। পরিবেশ বাঁচিয়ে রাখা আমাদের দায়িত্ব। প্রোডাক্টের প্রপার ইউটিলাইজেশন, পাওয়ার সেভিংস তখনি সম্ভব হবে যখন দেশের গ্যাস এবং বিদ্যুৎ অপব্যবহারের (৯-১১%) হার কমানো সম্ভব হবে এবং ২৬% এর সমপরিমাণ বন্ধ মেশিনগুলো চালু করা যাবে। এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের গবেষণা, গভীর চিন্তাভাবনা এবং হাতে-কলমে কাজ করতে উৎসাহিত করেন। স্পিনিং, নিটিং, ডাইয়িংসহ দেশের যেকোনো টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে নিটারের শিক্ষার্থীদের ইনটার্নশিপের সুযোগ করে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন জনাব. মো: খোরশেদ আলম।

সবশেষে জনাব. মো: খোরশেদ আলমকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মানিত করেন নিটারের পরিচালক জনাব মো: জোনায়েবুর রশীদ এবং করতালিমুখর পরিবেশে আলোচনা সভাটি সমাপ্ত হয়।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.