The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪

বশেমুরবিপ্রবিতে পরীক্ষার দাবিতে ফার্মেসী বিভাগে তালা!

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ফার্মেসী বিভাগের মাস্টর্সের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩ টার দিকে বিভাগীয় সভাপতির রুম, অফিস রুম এবং ফার্মেসী বিভাগের করিডোরের গেটে তালা দিয়েছে বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের (মাস্টার্স) শিক্ষার্থীরা। বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়ে পরীক্ষার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা গতবছর মে মাসে ‘বি’ ফার্ম শেষ করি। এরপর দীর্ঘ ৯ মাস অতিবাহিত হলেও আমরা আমাদের পরীক্ষা শুরু করতে পারিনি। গত ১০ ফেব্রুয়ারি এম ফার্ম ১ম সেমিস্টারের পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়। রুটিন অনুযায়ী আমাদের ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে চলমান অন্তর্কোন্দলের প্রেক্ষিতে আমাদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী বলেন, জীব বিজ্ঞান অনুষদের অন্যান্য বিভাগ যেখানে মাস্টার্স ২য় সেমিস্টারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে সেখানে ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থীরা কবে ১ম সেমিস্টার শেষ করবে সেই বিষয়ে সন্দিহান! তাই অতিসত্বর এই ঝামেলার নিরসন হোক এটাই আমাদের সবার দাবি।

এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আলি খান বলেন, “আমাদের একাডেমিক একটি মিটিং এ সিদ্ধান্ত হয়, বিভাগের কোন খণ্ডকালীন শিক্ষক প্রশ্ন প্রনয়ণ করতে পারবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের একজন শিক্ষক সব ধরনের একাডেমিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেন। যার কারণে বিভাগের ওই সেমিস্টারে দুইটি কোর্সের প্রশ্নকর্তারা কোন প্রশ্ন করেনি। যার কারণে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়নি। তিনি বলেন ২০ ফেব্রুয়ারি বিভাগের শিক্ষকদের সাথে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য সাথে বিভাগের চলমান সমস্যা নিয়ে মিটিং করেও কোন সমাধান হয়নি। আমরা আগামী সপ্তাহে আবার উপাচার্য স্যারের সাথে মিটিং করব, আশা করা যায় অতিদ্রুত সমস্যার সমাধান হবে এবং আশা করছি আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ আছে।

৬ মাসের সেমিস্টার ৯ মাস লাগছে, এ বিষয়ে তিনি বলেন আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষক ছুটিতে আছেন, ফলে বিভাগে একটি শূন্যতা তৈরি হয়েছিলো, সেই শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে গিয়ে আমাদের কিছু সময় লেগেছে। আরেকটি বিষয় মাস্টার্সের ১ম সেমিস্টারে পরীক্ষা শুরু করার আগে ব্যাকলগের রেজাল্ট না হলে আমরা ওই সেমিস্টারের পরীক্ষা নিতে পারি না। এই জন্য প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু করতে একটু দেরি হয়।

পরীক্ষা স্থগিত বিষয়ে, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের (মাস্টার্স) পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ড. তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি পোস্ট ডক করতে আবার শিক্ষা ছুটিতে যাচ্ছি, নিয়ম অনুযায়ী আমাকে ১৪ই মার্চের মধ্যে সেখানে যোগদান করতে হবে। স্বাভাবিক ভাবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যেতে পারব না, সেজন্য আমি ওই কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছি। তবে আমার ছুটির আগে উক্ত ব্যাচের পরীক্ষা শেষ হবার সম্ভাবনা ছিলো। কিন্তু বিভিন্ন কারণে পরীক্ষা আর হয়নি। তিনি আরো বলেন ওই সেমিস্টারের দুইটা কোর্সের কোর্স টিচার কোন প্রশ্ন প্রণয়ন করেনি। এ বিষয়ে বিভাগ কোন সমাধান দিতে পারেনি। উপাচার্য স্যারের সাথে মিটিং করেও কোন সমাধান হয়নি। সার্বিক এই জটিলতার কারণে আর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য ফার্মেসি বিভাগের মাস্টার্সের ত্বত্ত্বীয় পরীক্ষা গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হতে শুরু হয়ে ১১ মার্চ শেষ হবার কথা ছিলো।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.