কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির ১১তম কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। একই দিন ভোট গণনা শেষে প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, নির্বাচন কমিশনার গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মাহবুব দীপু এবং আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু বকর সিদ্দিক (মাসুম) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের নীল দল অংশ নিলেও অংশ নিচ্ছে না বিএনপিপন্থী সাদা দলের কোনো প্রার্থী।
তবে নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাস জুড়ে নীল দলের প্রার্থীদের চলছে প্রচার প্রচারণা। প্রার্থীরা আজ ভোটারদের সামনে তাদের বিগত উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন এবং নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
১৫টি পদের বিপরীতে এবারের নির্বাচনে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। একমাত্র সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান ও সহকারী অধ্যাপক লোক প্রশাসন বিভাগের মো. জিয়া উদ্দিন।
এছাড়া সহ-সভাপতি পদে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. তোফায়েল হোসেন মজুমদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাছান, কোষাধ্যক্ষ পদে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হান, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
কার্যকরী সদস্য পদে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব, অর্থনীতি বিভাগ অধ্যাপক ড. মোঃ শামিমুল ইসলাম, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হক, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, অর্থনীতি বিভাগ সহকারী অধ্যাপক স্বর্ণা মজুমদার ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতি-২০২৩ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষকদের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে সেসময় নির্বাচন স্থগিত হয়।