নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নাম সম্বলিত নিকাহনামা ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস’ নামক ফেসবুক পেজ এবং ‘আনিকা তাহসিন’ নামক ফেসবুক আইডি থেকে এটি ভাইরাল হয়।
ভাইরাল হওয়া নিকাহনামাতে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নামসহ তার পূর্ণাঙ্গ পরিচয় উল্লেখ রয়েছে। তার পিতার নাম তোবারক হোসেন, মাতার নাম নাসিমা খাতুন এবং ঠিকানা ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার কাশিমপুর গ্রাম। নিকাহনামায় কনের নাম-ঠিকানাও উল্লেখ রয়েছে। কনের নাম বৈশাখী খাতুন। সেও একই জেলার কাঞ্চননগর গ্রামের জিল্লুর রহমান এবং আছিয়া খাতুন দম্পতির কন্যা। এছাড়া বিবাহের উকিল, রেজিস্ট্রার, সাক্ষীদের নাম, তাদের পিতামাতার নাম এবং বিবাহের দেন মোহর ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার কথাও নিকাহনামায় উল্লেখ রয়েছে। নিকাহনামাটির- রেজিস্ট্রার-A, বুক নং: ১৬০০, ভলিউম নং: ২৪ এবং সাল: ২০২১।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, আমি নিকাহনামাটি একটি পেজ থেকে পোস্ট হতে দেখেছি। এ বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কেউ বা কারা সংগঠনকে বিতর্কিত করতে এবং আমার সম্মানহানি করতে এ ধরনের অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি তন্ময় সাহা টনি বলেন, ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিবাহিত কেউ ছাত্রলীগের পদে আসতে পারে না । নিকাহনামাটি ভাইরাল হওয়ায় সংগঠন বিতর্কিত হচ্ছে। আমরা এইধরনের ঘটনায় ব্যাথিত। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নিকট আমার অনুরোধ ঘটনাটি সত্য কিনা তা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত করা হোক।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ বলেন, নিকাহনামাটি ফেক। একজন প্রতিপক্ষ আরেকজন প্রতিপক্ষের একটি নিকাহনামা বানাতেই পারে। আমরা রেজিস্ট্রার কোন নথী খুঁজে পাইনি। তবে ঘটনাটি যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পদবি দেওয়ার সময় কেউ বিবাহিত হতে পারবে না। তবে পরে বিবাহিত হতে পারে সমস্যা নাই।