চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হাল্ট প্রাইজ অন-ক্যাম্পাস রাউন্ডের গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম স্পার্ক। এতে ১ম রানার আপ হয়েছে টিম রকিস এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে টিম নিউপ্যাথি।
চ্যাম্পিয়ন টিম স্পার্কের মূল দৃষ্টিভঙ্গি হল অন্ধ ব্যক্তিদের জন্যে টেকসই ও সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের শিক্ষা প্রদান করা। যারা ব্রেইল ডিভাইসের অভাবে সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নাবিদ’স কমেডি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা নাবিদ মাহবুব এবং চবি হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আফতাব উদ্দিন এবং কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম।
এবারের চূড়ান্ত পর্বের বিচারক হিসেবে ছিলেন চবি মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম লাইভের প্রতিষ্ঠা সাবের শাহ, জাপান টোবাকো ইন্টারন্যাশনালের টেরিটরি এক্সিকিউটিভ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ রিয়াদ, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ চট্টগ্রামের ম্যানেজার এডমিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল জরিম বলেন, হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা তাঁদের মেধাকে বিকশিত করতে পারে। হাল্ট পুরষ্কার ধারাবাহিকভাবে তরুণদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সমালোচনামূলক বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার লক্ষ্য এগিয়ে যাচ্ছে।
নাভিদ’স কমেডি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা নাভিদ মাহবুব বলেন, ক্যারিয়ারের শুরুতে আমি অনেক কাজ করেছি, কিন্তু কোনটাতেই তেমন সাফল্য পায়নি। তবে আমি হাল ছেড়ে দেয়নি। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করেছি। শুরুতে আমি অনেক ছোট কাজও করেছি। পরবর্তীতে আমার মাথায় বিনোদনের মাধ্যমে মানুষের সেবা করার চিন্তা থেকেই আজকের এ পর্যন্ত। আমাদের এই কমেডি শো শুধু ঢাকাতেই হয়। মাঝে আমরা চট্টগ্রামে একবার করেছি। এখন থেকে প্রত্যেকটি বিভাগে মাসে অন্তত একদিন শুরু করা যায কি-না চিন্তা করছি।
জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে গ্র্যান্ড ফিনালে শুরু হয়ে বিকেল ৫টায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটি সম্পন্ন হয়।
প্রতি বছর হাল্ট প্রাইজ একটি থিম উপস্থাপন করে যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলোর সাথে সম্পর্কিত। এই বছরের থিম হল “আনলিমিটেড”। এই লক্ষ্যমাত্রাগুলো আন্তঃসংযুক্ত এবং পরস্পর নির্ভরশীল প্রকৃতিকে স্বীকৃতি দিয়ে, বহুমাত্রিক সমস্যা মোকাবেলায় প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে উদ্ভাবনী সমাধানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়।