জবি প্রতিনিধি: লেখালেখি করলে অবসাদ কেটে যায়, মন ভালো থাকে। মনের সুস্থতার জন্য লেখালেখি অত্যন্ত জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের কনফারেন্স রুমে মুক্ত চিন্তা ধারার, প্রগতিশীল লেখকদের সংগঠন জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার, কলাম অ্যান্ড কন্টেন্ট রাইটার্স (জেএনইউএফসিসিডব্লিউ) কর্তৃক আয়োজিত পুরুস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, লেখালেখি করলে অবসাদ কেটে যায়, মন ভালো থাকে। মনের সুস্থতার জন্য লেখালেখি অত্যন্ত জরুরী। মুক্তবুদ্ধির চর্চা করতে হবে, ইন্ট্রোভার্ট হওয়া যাবে না। সকল কিছু শেয়ার করতে হবে। যারা কলাম লিখে তারা অনেক কিছু করতে ও শিখতে পারে। লেখার মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন করা যায়। তরুণদের লেখালেখির প্রতি আগ্রহ থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশিষ্ট কলাম লেখক বিজন বাড়ৈ। বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি যখন লেখালেখি করি তখন আমার টার্গেট থাকে যখন কেও এটা পড়বে শুধু পড়া নয় যেন সে এখান থেকে কিছু শিখতে ও স্কিল অর্জন করতে পারে। লেখালেখি মাধ্যমে যেন বিভিন্ন পরিবর্তন আসে সেটা করতে হবে। যারা লিখে তাদেরকে আমাদের উৎসাহ দেওয়া উচিত।
সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিল্টন বলেন, জেএনইউএফসিসিডব্লিউ মূলত মেধাবীদের সংগঠন, যারা ভাবতে পারে, তারা তাদের কথা ফুটিয়ে তুলতে পারে পত্রিকার পাতায়। ভিডিও কন্টেন্টের যুগে লেখালিখি আজও মানুষের কাছে পৌঁছানোর অন্যতম হাতিয়ার। সমাজের সমস্যা সমাধানে লেখালিখি জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে সৃজনশীলতা মানুষের মূল্যবোধকে জাগিয়ে তোলে, ভালো মানুষ হতে সাহায্য করে, কোনো সমস্যার সমাধানে সে অন্যদের থেকে আরো গভীরভাবে কাজ করতে পারবে। আগেকার দিনেও সমাজের পরিবর্তন এসেছে লেখালিখির হাত ধরে, এদিনেও হয়তো সব কুসংস্কার, সামাজিক অবক্ষয় রোধ হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তরুণদের হাত ধরেই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্টাতা সুবর্ণ আসসাইফ, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিল্টন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিদরাতুল মুনতাহা কার্যনির্বাহী সদস্য সাকিবুল ইসলাম সহ অন্যান্য সকল সদস্য ও শিক্ষার্থীরা।
আলোচানা সভা শেষে বিজয়ের বায়ান্ন উপলক্ষে সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন ক্যাটগরিতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিজয়ীদের পুরুস্কার দেওয়া হয়। এসময় ছোটগল্প ক্যাটগরিতে বিজয়ী শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সুমাইয়া ইমু, আবৃত্তি ক্যাটগরিতে ইংরেজি ভাষা বিভাগের ওমর ফারুক শ্রাবণ, নৃত্য ক্যাটগরিতে সমাজকর্ম বিভাগের আফ্রিয়া অলিন ও চিত্রকর্ম ক্যাটগরিতে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঝুমা আক্তার পুরুস্কার গ্রহণ করেন।
এছাড়া ডিসেম্বর মাসের সেরা লেখক হিসেবে রবিউল আওয়াল পারভেজ, ঝুমা আক্তার ও রিপন আল মামুনকে পুরুস্কার দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, জেএনইউএফসিসিডব্লিউ মুক্ত চিন্তা ধারার, প্রগতিশীল লেখকদের একটি সংগঠন। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ফিচার, কলাম, কন্টেন্ট ও মতামত লিখা এবং প্রতি মাসে বিভিন্ন ক্যাটগরিতে সেরা লেখকদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ ও আলোচানা সভার আয়োজন করে থাকেন।