The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

উন্মুক্ত আলোচনা শেষে খাবারের দাম কমাল রাবি প্রশাসন; সন্তুষ্ট শিক্ষার্থীরা

রাবি প্রতিনিধি: ক্যাম্পাসের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোর খাবারের দাম কমাতে দোকানি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা শেষে খাবারের দাম কমিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসন। এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনে প্রক্টর দপ্তরে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে ক্যাম্পাসের সকল খাবারের দাম কমিয়ে নতুনভাবে মূল্য তালিকা নির্ধারণ করেন প্রশাসন। এছাড়াও রিক্সা ভাড়াও নতুনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে আজ থেকে ক্যাম্পাসে প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত দামে খাবার বিক্রি করতে দোকানগুলোতে খাবারের নতুন মূল্য তালিকা সম্বলিত নোটিশ টাঙিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

নতুন মুল্য তালিকায় দেখা যায়, ভাত ১৫ টাকা প্লেট থেকে কমিয়ে ১০ টাকা করা হয়েছে, হাফ প্লেট ভাত ৮ টাকা থেকে ৬ টাকা, ব্রয়লার মুরগী ২পিস ৪০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, কাতল ও রুই মাছ ৫০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, রান্না ডিম ও ভাজা ডিম ২০ টাকা থেকে ১৫ টাকা, যেকোনো ভর্তা ১০ টাকা থেকে ৫ টাকা, সিঙ্গাড়া, চপ, পুড়ি ৮ টাকা থেকে ৬ টাকা, পড়োটা ১০ টাকা থেকে ৬ টাকা, সেন্ডইউচ ও বার্গার ৫০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, লাল চা ও দুধ চা ৭-১৫ থেকে কমিয়ে ৫-১০ টাকা, কফি ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫ টাকা, সবধরনের জুস ১০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

পাশাপাশি খাবারের মান বাড়াতে দোকানীদের নির্দেশ দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং এসব দামে খাবার বিক্রি হচ্ছে কিনা বা খাবারের মান বাড়ানো হয়েছে কিনা এ বিষয়ে তদারকি করার জন্য মনিটরিং সেল থাকবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসনের কর্মকর্তারাও মাঝেমাঝে এ খাবার খেয়ে মান যাচাই করবেন বলে উন্মুক্ত আলোচনায় জানানো হয়। এছাড়াও রিকশা ভাড়াও নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ থেকে নির্ধারিত দামে খাবার বিক্রি করতে নির্দেশনা জারি করেন রাবি প্রশাসন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, ক্যাম্পাসের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই অভিযোগ করে আসছিল। তাই শিক্ষার্থীরাসহ দোকানিদের নিয়ে আমরা উন্মুক্ত আলোচনায় বসেছিলাম। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে খাবারের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে এবং নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। যারা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি রাখবে, শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় তাদের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে চড়ামূল্যে খাবার খাওয়া আমাদের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য ছিল। তাছাড়া ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে অনিয়ন্ত্রিত মূল্যে খাবার বিক্রি করা হত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত যুগান্তরকারী একটি পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

উন্মুক্ত আলোচনা সভায় এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম সাঊদ, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, সহকারী প্রক্টর জাকির হোসেন, রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব, রাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুল হাসান অভি, রাবিসাসের সভাপতি তৌসিফ কাইয়ুম, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লাবু হক, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক আব্দুল মজিদ অন্তরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের প্রায় শতাধিক প্রতিনিধি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.