The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

পূর্ব ঘটনার জেরে ইবিতে সিনিয়রদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ

ইবি প্রতিনিধিঃ পূর্ব ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সিনিয়রদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন জুনিয়র শিক্ষার্থীরা। রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে ক্যাম্পাসের ঝাল চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। এতে একজন গুরুতরসহ অন্তত তিনজত আহত হয়। আহতদের তৎক্ষণাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নেয়া হয়।

আহত মাহমুদুল হাসান উৎস, রিয়াজ উদ্দিন ও বাদশা সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। পরে এই ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

লিখিত অভিযোগে নাম উঠে আসা অভিযুক্তরা হলেন- সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মাজহারুল ইসলাম নাঈম, মারুফ, ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মাসুদ রানা, একই বর্ষের ল’অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নিশান, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ওলিউর রহমান ওলি ও বাংলা বিভাগের তাওহীদ তালুকদার।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগপত্রে জানান, রোববার দুপুরে বিভাগের পরীক্ষা শেষে ক্যাম্পাসের ঝাল চত্বরে যান তারা। পরে অভিযুক্তরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অতর্কিত আক্রমণ করে কাঠের বাটাম, ইট, লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। এতে উৎস কপাল ও পিঠে জখমসহ চোখে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এসময় অন্য দুজনও আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভুক্তভোগী ও তার সহপাঠীরা জানান, গত বছরের ২২ নভেম্বর বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে ক্যাম্পাসের লেকে চড়ুইভাতির আয়োজন করা হয়। ওই সময় ভুক্তভোগী উৎস ভুলক্রমে অনুষ্ঠানে খাবার পরিবেশনের জন্য আনা একটি ওয়ানটাইম প্লেট ভেঙে ফেলেন। পরে এটা নিয়ে অভিযুক্ত নাঈম ও মারুফসহ ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের অন্যরা উৎসসহ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সবাইকে গালমন্দ ও অপমান করেন। তখন উৎসসহ তার সহপাঠীরা প্রতিবাদ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। মারামারির সময় উভয়পক্ষ একে অন্যদের দিকে প্লাস্টিকের চেয়ার ছুড়ে মারেন। এসময় চেয়ারের আঘাতে নাঈম গুরুতর আহত হন এবং ভুক্তভোগীদের কয়েকজন সহপাঠীর হাত কেটে যায়। পরে শাখা ছাত্রলীগের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষের মাঝে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়া হয়। তবে আজ রোববার ফের মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে তারা।

ভুক্তভোগী মাহমুদ হাসান উৎস বলেন, সামান্য পাঁচ টাকার একটি প্লাস্টিক প্লেট। ওইটা ভুলক্রমে ভেঙে যাওয়ার পর আমি অনেকবার সরি বলার পরও তারা আমাদের ব্যাচের সবাইকে আমাদের জুনিয়রদের সামনে অপমান করতে থাকে। এটা নিয়ে তখন আমাদের সঙ্গে তাদের হালকা বাকবিতণ্ডা হয়। এ সামান্য বিষয়টাকে তারা এত বড় ইস্যুতে পরিণত করেছে।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম নাইম ও মারুফের কাছে জানতে চাইলে তারা ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে জানান। তবে ভুক্তভোগী ছাড়াও প্রত্যক্ষদর্শীরা মারধরের সময় ঘটনাস্থলে তাদের উপস্থিত থাকার এবং মারধরে জড়িত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক সিরাজুল ইসলাম বলেন, চোখে আঘাতের ফলে ভেতরে কিছুটা রক্তক্ষরণ হয়েছে। ব্যথার ওষুধ, চোখের ড্রপসসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দেয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ জানান, ঘটনাটি নিয়ে বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল বিভাগ ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছে। বিভাগ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে সেক্ষেত্রে আমরা দেখব।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.